চা সুন্দরী প্রকল্পে ৫০০ কোটি বরাদ্দ, ৩ বছরই গৃহহীনরা ঘর পাবেন: মমতা

চা সুন্দরী প্রকল্পে ৫০০ কোটি বরাদ্দ, ৩ বছরই গৃহহীনরা ঘর পাবেন: মমতা

79dbb8b16c81e40d05ba29e6a5742c84

ফালাকাটা: গতকাল পেশ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এবং যা যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সেই প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন আসলেই সবাই বড় বড় কথা বলে কিন্তু আখেরে কাজের কাজ কিছু করে না। কিন্তু তৃণমূল সরকার যা বলে তাই করে। এই বলেই আজ আদিবাসী এবং গৃহহীন মানুষের জন্য একাধিক ঘোষণা করলেন তিনি।

এদিন মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, আদিবাসীদের জমি আদিবাসীদেরই থাকবে, সেই প্রেক্ষিতে কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে চা-বাগান প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে মমতা দাবি করেন, অনেকেই অনেক কিছু বলেন কিন্তু কিছুই করেন না। কিন্তু তৃণমূল সরকার যা বলে সেটা করে দেখায়, এটাই মা মাটি মানুষের সরকার। পাশাপাশি মমতা ঘোষণা করেন, চা সুন্দরী প্রকল্পে চা শ্রমিকদের বাড়ি দেওয়া হবে, এই প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই এই প্রকল্পে গৃহহীনরা ঘর পাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ফালাকাটা-ময়নাগুড়িতে হবে নতুন পুরসভা। একইসঙ্গে এদিন খাদ্যসাথী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান ফের একবার সকলের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে চা শ্রমিক এবং চা বাগান প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে খুব সহজেই ছেড়ে দেননি তিনি। এ দিন আক্রমণ করে বলেছেন, নির্বাচন এলেই অনেকের চা বাগান এবং শ্রমিকদের ওপর নজর পড়ে। কিন্তু ভোট মিটে গেলেই তারা পগারপার হয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এমনটা নয়। তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে এবং আগামী সময়েও করবে। প্রশঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। একাধিক সড়ক প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রাস্তা মেরামত করা হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা ইতিমধ্যেই কাজ চলছে। সবাই সেটা দেখতেও পাচ্ছে। তাহলে এখন নতুন করে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা কি কাজ করা হবে? 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *