বাংলা তো বটেই, দেশের আরও ১২ রাজ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা! জানাল কেন্দ্র

বাংলা তো বটেই, দেশের আরও ১২ রাজ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা! জানাল কেন্দ্র

a06987092f9c0e5fb40fc0ed5136ea1e

নয়াদিল্লি: বাংলায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে অনেক আগে থেকে সুর চড়িয়ে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি তাদের যতরকম অভিযোগ। এবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে বড়সড় তথ্য দিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভায় জানান হল, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের আরও ১২ রাজ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা! 

রাজ্যসভা বুধবার জানানো হয়েছে, অবৈধ রোহিঙ্গা অভিবাসীরা দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু সহ ১২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবস্থান করছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় জানিয়েছেন, যেহেতু অবৈধ এই রোহিঙ্গা আভিবাসীরা প্রচণ্ড গোপনীয়তা অবলম্বন করে আর বৈধ পরিচয় পত্র ও তথ্য ছাড়াই দেশে প্রবেশ করে, তাই দেশে এই ধরনের অভিবাসীর সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুসারে, অবৈধ রোহিঙ্গা অভিবাসীরা বর্তমানে ভারতে বেশিরভাগ জম্মু ও কাশ্মীর, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কর্ণাটক ও কেরালায় অবস্থান করছে। মন্ত্রী আরও বলেন, পরিচয় পত্র যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাসহ অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্তকরণ ও নির্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। 

কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সভায় রোহিঙ্গা সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছে তাতে অবশ্যই উদ্বেগের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কারণ এই রাজ্যে আর কয়েক সপ্তাহ পরেই বিধানসভা নির্বাচন সংঘটিত হবে। অনেক আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে আওয়াজ তুলেছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার সংখ্যায় অত্যাধিক বৃদ্ধির কথা মনে করিয়ে দিয়েও এই প্রসঙ্গে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে তাদের তরফে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের কাছেও বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে,বাংলায় যে এত পরিমাণ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। তাই নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় সরকারের এই রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখনই তাই দেখার, রাজ্যসভায় দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বঙ্গ বিজেপি ব্রিগেড পরবর্তী ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *