হুগলি: দলত্যাগের পরেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আজ আলিপুরদুয়ারের কর্মীসভার জনসভা থেকে সেই অভিযোগ তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করা হয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে কারসাজি করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলে কার্যত বোমা ফাটালেন নব্য বিজেপি নেতা রাজীব। হুগলিতে ভারতীয় জনতা পার্টির কৃষক সুরক্ষা অভিযানের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি।
এ দিন রাজীব বলেন, বন সহায়ক পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। আর তিনি দল ছেড়েছেন জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে। রাজীবের প্রশ্ন, যদি তিনি সত্যিই কারসাজি করে থাকেন তাহলে এতদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দল থেকে কেন তাড়াননি। এই পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তার কাছে তথ্য রয়েছে যে কোথা কোথা থেকে সুপারিশ এসেছে এবং কে কে বন সহায়ক দপ্তরে চাকরি পেয়েছে। এমনকি কবে, কোন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং নির্দিষ্টভাবে কি কথা হয়েছে সেই তথ্য তিনি তাঁর কাছে যত্ন সহকারে রেখে দিয়েছেন বলে দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নব বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন: বন সহায়ক নিয়োগে ‘কারসাজির’ অভিযোগ রাজীবের বিরুদ্ধে, পাল্টা দিলেন জয়প্রকাশ
এর পাশাপাশি আরও এক বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, তিনি যতদিন দলে ছিলেন ততদিন তাকে ধরার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের তাবড় তাবড় শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাঁকে দলে রাখতে চেয়ে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এমনকি কারা কারা ফোন করে কি কি বলেছে সেই সমস্ত কল রেকর্ড এবং তথ্য তাঁর কাছে রয়েছে বলে দিন স্পষ্ট করে দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে ঠিকই, কিন্তু দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলবে৷ গোটা বিষয়টি রিভিউ করে দেখা হবে৷ যাঁরা যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের সকলকে সুযোগ দেওয়া হবে৷ নাম না করেই রাজীবকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আজ বাইরে গিয়ে বড় বড় কথা বলছে৷ কিন্তু বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে কী করে গিয়েছেন, সেই বিষয়ে তাঁকে আগে প্রশ্ন করা হোক৷’’