তৃণমূল নেতারা পোড়া বিড়ি নিভিয়ে খেতেন, এখন তুলো গোঁজা সিগারেট খান: শুভেন্দু

তৃণমূল নেতারা পোড়া বিড়ি নিভিয়ে খেতেন, এখন তুলো গোঁজা সিগারেট খান: শুভেন্দু

ধনেখালি: একদিকে শুভেন্দু অধিকারী, অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর এক সময়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ এই দুই নেতার দাপটেই এখন বিজেপির কাছে কার্যত কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। দুজনেই রাজ্য সরকারের অধীনে মন্ত্রিত্ব ও বিধায়কের পদ ত্যাগ করে একুশের ভোটের আগে নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আর দলবদলের পর থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত শানিয়েছেন আক্রমণ।

এদিন হুগলির ধনেখালিতে বিজেপির জনসভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধনেখালির মানুষের কাছে এর আগে একাধিক বার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোট চাইতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু দলবদলে যে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বিশেষ পরিবর্তন আসেনি, এদিন আরও একবার সে কথা জানান তিনি। বলেন, “মাঠ আমার চেনা। আমিও পুরোনো প্লেয়ার। ঝান্ডাটা নতুন আর প্রতীকটা পদ্মফুল।”

২০১৩ সালের পর থেকে ধনেখালি এলাকায় ভোটের নামে প্রহসন হয়, এদিন সভা মঞ্চ থেকে এমনটাই দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনী লুঠের অভিযোগ এনে শাসকদলের ক্ষমতালিপ্সা ও দুর্নীতির দিকেই নতুন করে আরো একবার আঙুল তোলেন তিনি। তৃণমূল নেতাদের নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, “পোড়া বিড়ি নিভিয়ে নিভিয়ে খাওয়া লোকগুলো এখন পিছনে তুলো লাগানো সিগারেট ছাড়া আর কিছু খায় না।”

এখানেই শেষ নয়, ধনেখালি তথা হুগলির তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী। গ্রামের গরিব মানুষের কাচা মাটির বাড়ি আর নেতাদের তিন-চার তলা বাড়ি, দামী গাড়ির বৈপরীত্যকে পাশাপাশি তুলে ধরে তীব্র কটাক্ষ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়। মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতার বাড়িকে এদিন “কালিঘাটের শান্তিনিকেতন” বলেও ব্যঙ্গ করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের জনসভা থেকেও চেনা ভঙ্গিতেই শাসকদলকে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কয়েক মাস আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর থেকেই এক নাগাড়ে তৃণমূল বিরোধিতা করে চলেছেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ ভোট পূর্ববর্তী বঙ্গ রাজনীতিতে যোগ করছে নতুন উত্তাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =