নয়াদিল্লি: দক্ষিণ চিন সাগরে ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিনা বাহিনী৷ চিনা আগ্রাসন রুখতে এবার দক্ষিণ চিন সাগরে মহড়া চালাবে ভারতের নৌবাহিনী৷ এ কথা ঘোষণা করলেন ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা৷
গত সপ্তাহে একটি অনলাইন ফোরামে বক্তব্য রাখার সময় ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রতিটি দেশের নৌ চলাচলের জন্যই উন্মুক্ত রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগর৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কোনও দেশকে দক্ষিণ চিন সাগরের উপর দিয়ে যাতায়াতে বাধা দিই না৷ ব্রিটিশ, ফ্রান্সের মতো একাধিক দেশের নৌ চলাচল করে এই জলসীমার উপর দিয়ে৷ এবার থেকে দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের উপস্থিতিও লক্ষ করা যাবে৷’’ সেই সঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা নৌবাহিনীর গতিবিধি উদ্বেগজনক বলেও উল্লেখ করেন লোরেনজানা৷
দক্ষিণ চিন সাগরের ৯০ শতাংশ অংশ নিজেদের বলে দাবি করে চিন৷ এই এলাকায় অ্যান্টি এয়ার ক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ডিএফ ২১ডি ও ডিএফ-২৬এর বিস্তৃতী পরীক্ষা করেও দেখছে তারা। অন্যদিকে, চিনের বিরুদ্ধে নয়া ফ্রন্ট খুলে দক্ষিণ চিন সাগরে দু’টি রণতরী পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সেখানে সামরিক মহড়া করবে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগান৷
চিন এসসিএল এলাকায় ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে৷ ফিলিপাইনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছে৷ গত শুক্রবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা নৌবাহিনীর মহড়ার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ফিলিপাইন৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতির টেলিফোনে কথোপকথনের পরই দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে ফিলিপাইনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি৷ এর পরই দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর মহড়ার কথা ঘোষণা করেন ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা৷
গত বছর ভারত, আমেরিকা, ফিলিপাইন এবং জাপানের নৌবাহিনী দক্ষিণ চিন সাগরে যৌথভাবে শক্তি প্রদর্শন করেছিল৷ ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো ডুটারের সঙ্গে নমোর সাম্প্রতিক কথোপকথন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ এটি এলএসি এবং দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে চিনের কঠোর অবস্থানের প্রেক্ষাপটে দিল্লি ও ম্যানিলার মধ্যে বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে।