মমতার জীবন নিয়ে জনতার দুয়ারে তৃণমূল! ভোটের আগে হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া!

মমতার জীবন নিয়ে জনতার দুয়ারে তৃণমূল! ভোটের আগে হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া!

কলকাতা: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে শাসকদলের ঘাঁটি যতই দুর্বল দেখাক, যতই একের পর এক নেতা কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এ রাজ্যে কমেনি একচুলও। পশ্চিমবঙ্গে গত ১০ বছরের তৃণমূলী শাসনকে বিরোধীরা যতই কটাক্ষ করুক, দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা নিয়ে হয়তো তাঁরাও প্রশ্ন তুলতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক অভিনব উদ্যোগ আরো একবার সেই কথাই প্রমাণ করল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনযাপন ও রাজ্যে তাঁর শাসনকাল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আয়োজিত হয়েছে অভিনব এক ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। তবে একে আদৌ প্রতিযোগিতা বলা যায় না। নাম লিখিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই এখানে। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়ক নানা প্রশ্নোত্তরের সম্ভার হামেশাই ভেসে উঠছে মুঠোফোনের দেওয়ালে। ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ, মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে প্রশ্নোত্তরের আসর।

জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিনব ব্যবস্থার নেপথ্যে রয়েছে টিম ‘দিদিকে বলো’। ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করার নজির দেখা গেছে আগেও। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিনব উদ্যোগে মজেছেন অনেকেই। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী কিংবা সবুজ সাথী, বাংলার ‘অগ্নিকন্যা’কে নিয়ে প্রশ্নোত্তরের আসরে সামিল হচ্ছেন অনেকেই। জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর ভোট প্রচারের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলছে এই ক্যুইজ প্রতিযোগিতা।

জানা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ‘আইপ্যাক’-এর তরফ থেকে ‘দিদিকে বলো’ টিমকে নিয়ে এই ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। কোন কোন প্রশ্ন করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়? রইল তার কয়েক ঝলক।  ১) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন সালে সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ হন? ১৯৮৪ না ১৯৯০? কাকে পরাজিত করেছিলেন? সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় নাকি সুজন চক্রবর্তী? ২) নন্দীগ্রাম আন্দোলন হয়েছিল কোন বছর? ২০০৭ না ২০১৫? ৩) কোন বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হন? ১৯৯৯ না ২০০৫? রয়েছে এমনই আরও প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − three =