কৃষ্ণনগর: শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে খুনের হুমকি দিয়ে দেওয়াল লিখনের অভিযোগ উঠল। শান্তিপুর শহর সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামীণ এলাকায় শুক্রবার সকালে হুমকি লেখা নজরে আসে স্থানীয়দের। সেখানে লেখা হয়েছে, “আগামী সাত দিনের মধ্যে অরিন্দম ভট্টাচার্য তুমি শান্তিপুর ছাড়ো, না হলে তোমার খুনের দায় তুমি নিজে”। ঘটনার জেরে এ দিন সকাল থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এই লেখা কে বা কারা লিখেছে তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নদীয়ায় শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে। কিছুদিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। তারপর জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তাও পেয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তোলা হচ্ছে।
একসময় যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন, পরবর্তী ক্ষেত্রে শান্তিপুর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। এবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেই ফের দল বদল করে বিজেপিতে যান তিনি। গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানোর পরেই শান্তিপুরের তার নামে হুমকি পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন তিনি। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব গেরুয়া নেতা। যদিও গোটা ঘটনায় নিজেদের যুক্ত থাকার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল ব্রিগেড। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপি তাদের নিজেদের লোক দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষারোপ করছে। শুধুমাত্র সংবাদ শিরোনামে আসার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের।
এ দিকে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বিজেপি যোগদানের পর একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তাকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে তাঁর কনভয়ের ওপরেও হামলার অভিযোগ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যে কজন ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককেই নিরাপত্তা দিয়েছে বিজেপি সরকার। একেবারে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।