বিনামূল্যে রেশন, মিলবে স্বল্পমূল্যে খাবার, বাজেটে গুচ্ছ প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর!

বিনামূল্যে রেশন, মিলবে স্বল্পমূল্যে খাবার, বাজেটে গুচ্ছ প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর!

5e71cc9f8877e5a78da21469a3577c68

কলকাতা: রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ থাকায় তাঁর পরিবর্তে শুক্রবার বিধানসভায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন নির্বাচনের আগে এই বাজেট পেশ করে বিরোধীদের তাক লাগিয়ে দিলেন মমতা। এদিনের বাজেটে একগুচ্ছ পরিষেবা সাধারণ মানুষের ঝুলিতে উপহার দেন তিনি।

বিনামূল্যে রেশন নিয়ে এদিন বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা আবহে লকডাউনের ঠিক পরেই সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। ঠিক ছিল, জুন ২০২১ পর্যন্ত এই বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। কিন্তু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, জুন ২০২১-এর পরেও সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু থাকবে। এর জন্য আগামী অর্থবছরে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন তিনি।

এদিন বিধানসভায় বাজেট পেশ করার সময় এক নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে, স্বল্পমূল্যে সব জায়গায় সকলের জন্য কমন কিচেন বা রান্না করা খাবার চালু হবে। নতুন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মা’ প্রকল্প। এর জন্য রাজ্য সরকার ১০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করেছে আগামী অর্থবর্ষে।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথীর ধারাবাহিকতা নিয়েও বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী ইতিমধ্যেই বিশ্বের দরবারে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। আমি মনে করি এটা সরকারের শ্রেষ্ঠ প্রকল্প। অনেকে মনে করছেন যে, স্বাস্থ্যসাথী শুধু এ বছরের জন্যই। আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি, শুধু এবছর নয়। স্বাস্থ্যসাথী প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে চলবে। যারা পরে যোগ দিতে চান, দিতে পারেন। ৩ বছর অন্তর অন্তর স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পুনর্নবীকরণ করা যাবে। এজন্য আমি আগামী অর্থবছরে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রাখছি।”

তৃণমূল সরকারের নয়া প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ নিয়েও এদিন মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন। প্রতিবছর দুবার করে এই দুটি প্রকল্প আয়োজন করার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি জানান, “লক্ষ লক্ষ মানুষ আমাদের এই দুই প্রকল্পে সাহায্য পাচ্ছেন। তাই এটা প্রতি বছর দুবার দুমাস করে হবে। প্রথম পর্বে আগস্ট-সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় পর্বে ডিসেম্বর-জানুয়ারি, এই দুই মাস ধরে এই প্রকল্প দুটি চলবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *