কলকাতা: গতকাল জোড়াবাগানে ৯ বছরের এক নাবালিকার গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছিল বহুতলের দারোয়ান রাম কুমার ওরফে লম্বুকে। সেই প্রেক্ষিতে তাকে আটক করে পুলিশ এবং ম্যারাথন জেরা চালানো হয়। অবশেষে এই ঘটনার কিনারা করে ফেললো কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। বালিকাকে যৌন নির্যাতন এবং খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
যে বহুতল থেকে ওই বালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেই বহুতলের ছাদের একটি কাগজ পায় পুলিশ। সেই কাগজ দারোয়ান নিজে ছাদে নিয়ে গেছিল বলে জানায়। তখনই পুলিশের সন্দেহ হয় যে দারোয়ান হঠাৎ ছাদে কেন গিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, দারোয়ানের বয়ানী একাধিকবার অসঙ্গতি মেলে এবং তার ফোনে বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিওর হদিস পায় তারা। তার মধ্যে ছিল চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ভিডিও। পুলিশ সূত্রে দাবি, লুকোচুরি খেলতে খেলতে যখন ওই বালিকা ওই বহুতলে গিয়ে লুকিয়ে তখন তাকে বিরিয়ানি এবং চিপসের লোভ দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে যায় দারোয়ান। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রচণ্ড মারধোর করে, মাথার চুল ছিঁড়ে, ভেঙে দেওয়া হয় দাঁত! তার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে কেটে দেওয়া হয় গলা। এও জানা গিয়েছে, খুনের পর নিজের কর্মস্থলেও যায় অভিযুক্ত। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বালিকার পাকস্থলীতে বিরিয়ানি এবং চিপস পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই বালিকা মাত্র তিনদিন আগে শোভাবাজার থেকে তার মামার বাড়ি জোড়াবাগান এসেছিল। বুধবার বিকেল বেলা লুকোচুরি খেলতে খেলতে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। পরে এলাকার একটি পরিত্যক্ত বহুতলের ছাদের সিঁড়িতে তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত দারোয়ানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবি, ৩০২ এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হবে। ম্যারাথন জেরার পরেই নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে।