বেজিং: কেমিক্যাল ওয়েপন কনভেনশন (সিডব্লিউসি)–এ সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান জানাল চিন৷ চিনা প্রতিনিধি দলের কথায়, এই প্রতিবাদের মধ্যে দিয়েই সিডব্লিউসি-র কর্তৃত্ব এবং কার্যকারিতা বজায় রাখা সম্ভব৷
সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বৃহস্পতিবার অর্গানাইজেশন ফর দা প্রহিবিশন অফ কেমিক্যাল ওয়েপন (ওপিসিডব্লিউ)-এর কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের ৯৪ তম অধিবেশনে খসড়া প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হয়৷ চিন, রাশিয়া এবং ইরান এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়৷ তবে ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, কেনিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সহ নয়টি দেশ ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে৷
অধিবেশনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে ভোটাভুটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিনের প্রতিনিধিরা বলেন, এর ফলে দেশগুলির মধ্যে মেরুকরণ এবং দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হবে৷ সেইসঙ্গে ওপিসিডব্লিউ-এর কাজে ক্রমাগত রাজনীতিকরণ ঘটবে৷ চিনা সংবাদ সংস্থা জিনহুরার রিপোর্ট অনুযায়ী, যে কোনও দেশ, সংস্থা বা যে কোনও পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিস্তরে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে বরাবই কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসেছে চিন৷ বৃহস্পতিবার চিনা প্রতিনিধি দল আরও জানায়, ‘‘চিন বিশ্বাস করে সিডব্লিউসি-র নিয়ম মেনে রাসায়নিক অস্ত্রের যে কোনও সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়ে ব্যাপক, উদ্দেশ্যমূলক এবং নিরপেক্ষ তদন্ত চালাবে ওপিসিডব্লিউ৷’’
ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড আইডেন্টিফিকেশন টিম (আইআইটি) প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই চিন বলে আসছে এই প্রতিষ্ঠান সিডব্লিউসি’র নিয়মের বাইরে রয়েছে৷ এর কর্মপদ্ধতি সিডব্লিউসি’র নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷ চিনের দাবি, একটি টেকনিক্যাল অর্গান হিসাবে ওপিসিডব্লিউ-র টেকনিক্যাল সেক্রেটারিয়েটের উচিত কঠোরভাবে সিডব্লিউসি-র নীতি অনুসরণ করা এবং কার্য সম্পাদনের জন্য উদ্দেশ্যমূলক, নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতার চেতনাকে সমর্থন করা৷
২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে৷ দেশব্যাপী গণ বিক্ষোভ প্রদর্শন এক সময় অভ্যুত্থানের রূপ নেয়। বিবিসির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এটা বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আছে যে সিরিয়ায় ২০১৩ সাল থেকে অন্তত ১০৬টি রাসায়নিক হামলা হয়েছে। ওই বছরই প্রেসিডেন্ট আসাদ রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করতে ইন্টারন্যাশনাল কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশনে (সিডব্লিউসি) স্বাক্ষর করেছিলেন।