‘দিদি বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দিতে দেন না’! কারণ ব্যাখ্যা দিলীপের

‘দিদি বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দিতে দেন না’! কারণ ব্যাখ্যা দিলীপের

কলকাতা: মুসলিম তোষণ, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা… এই সব ইস্যু নিয়ে বিজেপি ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে। দাবি করা হচ্ছে, বাংলায় যে অপ্রত্যাশিত ভাবে ভোটার বেড়েছে তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গা। মুসলিমদের ভোটের লক্ষ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ঘুঁটি সাজাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে বিস্ফোরক দাবি করে তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানাচ্ছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দিতে দেন না, কারণ রোহিঙ্গারা এসে ভোট দেবে। 

ফেসবুক পোস্ট করে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে ভারতবর্ষের একটা সীমান্তবর্তী প্রদেশ তাই দিদি বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দিতে দেন না। কারণ ওপার থেকে রোহিঙ্গারা আসবে, মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা আসবে, তারা ভোট দেবে। তাই তো প্রশান্ত কিশোর বলেই দিয়েছেন, ৩০ শতাংশ ভোট তারা হাতে রেখে দিয়েছে। তার মানে আপনি শুধু মুসলিমদের ভোট নিয়ে কাজ করবেন, মানে বাকিদের ভোট দরকার নেই, সেটাই বলতে চাইছেন।’ স্বাভাবিক ভাবেই এই পোষ্টের পর তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির মুসলিম তোষণের অভিযোগ যে আরও ঝাঁঝাল হল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কয়েকদিন আগেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। একইরকম ভাবে ফেসবুক পোস্ট দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। 

Posted by Dilip Ghosh on Friday, 5 February 2021

সেবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে একটি কার্ডের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে আসে বাংলাদেশ অভিনেতা, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বাংলাদেশি স্লোগান শোনা যায়। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত পুজোয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার আসে উদ্বোধন করতে। সেই পোস্টেই দাবি করা হয়েছে, ইসলামিক বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হল জয় বাংলা। তাই আদতে এই স্লোগান ব্যবহার করে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন গ্রেটার বাংলাদেশের লক্ষ্যে। বিজেপি শিবিরের দাবি, জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে আপত্তি মাননীয়ার, এদিকে তাঁর মুখে মুক্তিযুদ্ধের সময় তোলা বাংলাদেশি স্লোগান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − one =