মুর্শিদাবাদ: বাংলায় পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি’র রণকৌশলে সামিল পঞ্চরথ৷ জনসংযোগ গড়ে তুলতে বাংলায় ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে ছুঁটবে তাদের ‘পরিবর্তন যাত্রা’৷ শনিবার বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাত ধরে নবদ্বীপ থেকে সূচনা হয় এই রথ যাত্রার৷ কিন্তু তৃতীয় দিনেই হোঁচট খেল ‘গেরুয়া রথ’৷ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার কাছে রোখা হল তাদের পথ৷
আরও পড়ুন- “ইংরেজ, পাঠান, সিপিএম, কংগ্রেস তাড়িয়েছি, এবার তৃণমূল তাড়াবো “, হুঙ্কার দিলীপের
রবিবার রাতে বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রমে ছিল রথ৷ সকালে নির্ধারিত রুটে যাত্রা শুরু করার আগেই তাদের বাধা দেয় পুলিশ৷ আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় প্রস্তাবিত রুটে ‘না’ করা হয়৷ প্রসঙ্গত, এদিন নওদা-হরিহরপাড়া হয়ে বহরমপুরে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি’র রথের। কিন্তু অন্য পথে রথ ছোটাতে নারাজ গেরুয়া শিবির৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলডাঙা৷ পূর্ব নির্ধারিত পথেই যাত্রা করতে নাছোড় হয়ে ওঠেন বিজেপি নেতারা৷
এবিষয়ে বঙ্গ বিজেপি’র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আগে থেকেই পুলিশকে রথযাত্রার রুটের বিষয়ে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পরিবর্তন যাত্রায় বাধা দেওয়া হয়েছে। কোনও সমস্যা থাকলে আগে থেকে তা জানানো হল না কেন? প্রশ্ন তোলেন শমীক। কিন্তু এই রুটে আগে কি অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ? সে বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি তিনি৷
আরও পড়ুন- বাংলার জনতার কল্যাণে গুচ্ছ প্রকল্প উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী!
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষে দাবি, নিশ্চিত ভাবেই নির্দিষ্ট কোনও কারণেই পরিবর্তন যাত্রা আটকানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘রথযাত্রা নয়, বিজেপির যাত্রাপালা হচ্ছে।’’ বিজেপি’র রথে আটকানোয় ফুঁসতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা৷ কিন্তু দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকদের আন্দোলনে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল যখন সামিল হয়েছিল, তখন কেন বাধা দেওয়া হয়েছিল তাঁদের? প্লাটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিন কুণাল৷
প্রসঙ্গত, জেলার পথজুড়েই নয়, মহানগরের রাজপথ ধরেই ছুটবে বিজেপি’র এই রথ৷ ৬ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপ থেকে সেই যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ১১ তারিখ রথ যাত্রায় সামিল হবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷