বোলপুর: তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া দুই বিধায়কের আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে জারি তরজা। বিধানসভা ভোটের আগে শাসকদলের একের পর এক নেতা যখন নাম লেখাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে, তখনই পদ্মফুল হাতে তুলে নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিং। কিন্তু গতকাল তাঁদের বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা যায়। তারপরেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় জোর চর্চা। এদিন এই ঘটনা নিয়েই মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল।
মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করতেই বিধানসভায় গিয়েছিলেন তৃণমূল ত্যাগী দুই বিধায়ক, এদিন সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের জেলা সভাপতিকে এদিন প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল ছাড়ার পরেও কেন হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিং? তাঁর জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর এক প্রস্থ প্রশংসা শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলের গলায়।
এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কাজের মুখ্যমন্ত্রী, উন্নয়নের মুখ্যমন্ত্রী। এমন মুখ্যমন্ত্রীকেই সবাই চায়। তাই হয়তো ওঁরা গিয়ে প্রণাম এসেছেন।” এখানেই শেষ নয়, এদিন আরো একবার বিজেপির উদ্দেশ্যে ‘খেলা’ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। তাঁর কথায়, “সবে খেলা শুরু হয়েছে। ফাইনাল আমরাই জিতব।”
বস্তুত, রাজ্যে প্রাক- নির্বাচনী আবহে এর আগেও একাধিক বার খেলা শুরুর হুঁশিয়ারি শোনা গেছে বীরভূমের তৃণমূল নেতার গলায়। তিনি বলেছেন, “খেলা শুরু হলে আমরা এত গোল দেবো যে ওদের দলকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।” এদিন অনুব্রত মন্ডলের এই হুমকির পাল্টা দিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছেন তাঁরাও পাকা খেলোয়াড়। উল্লেখ্য, গতকাল তৃণমূলত্যাগী দুই বিধায়ককে মূখ্যমন্ত্রীর দরবারে দেখা গেলে তাঁদের এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, উন্নয়নমূলক কাজ পড়ে আছে, সে বিষয়ে কথা বলতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বলা বাহুল্য তাতে জল্পনা থামেনি।