রায়গঞ্জ: আর কয়েক দিন পরেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে। তার আগে এতটুকুও সময় নষ্ট না করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেসের ভিত আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রায়গঞ্জে জনসভা করলেন তিনি। সেখান থেকে নাম না করে দল বদল করা নেতাদের একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট করে দিলেন, কেউ যদি নিজেকে বড় নেতা মনে করে তাহলে সে ভুল ভাববে।
মমতার কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে কারণ মনে রাখতে হবে দল কারোর কাছে মাথা নত করে না, কাউকে মাথা নত করে টিকিট দেয় না। কেউ যদি মনে করে যে সে বড় নেতা, তাহলে সে ভুল ভাববে। দলবদলুদের কটাক্ষ করে মমতা আরো বলেন, কিছু ভুঁইফোড়কে তিনি কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন, তারা আদতে নিজের আখের গুছিয়ে পালিয়ে গেছে। ইঁদুর থেকে বাঘ হয়ে ঋষিকেই খেতে আসছে, বলে চরম কটাক্ষ করেন তিনি। একইসঙ্গে জনসভায় আগত সকলকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিতে তিন ধরনের মানুষ রয়েছে, লোভী, ভোগে এবং ত্যাগী। এই লোভীদের ত্যাগ করতে হবে। প্রসঙ্গত আজ উত্তর দিনাজপুর ছাড়াও মালদায় জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুটি জেলার দায়িত্বে ছিলেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী! তাই আজ দল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের উদ্দেশ্যে যে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, তার মূল নিশানায় যে শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।
দলবদল প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। মন্তব্য করেন, বাংলা এবং বাংলার মানুষের সম্পর্কে কিছুই জানে না ভারতীয় জনতা পার্টি। তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান জানে না, স্বামী বিবেকানন্দের পুরো নাম জানে না। বিবেকানন্দের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নাম জুড়ে বলে দেয় ‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’। মমতা আরো বিজেপিকে এক হাত নিয়ে বলেন, বেকারত্ব নিয়েও তারা বড় বড় কথা বলেছে কিন্তু দেশে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে আর বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমেছে। এছাড়া একাধিক প্রকল্পে রাজ্য সরকার ব্যাপক কাজ করেছে বলেও এদিন ফের একবার দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।