‘রাজনীতির A,B,C জানে না যে, সে এখন দলের নেতা!’ বিস্ফোরক ত্রিবেদী

‘রাজনীতির A,B,C জানে না যে, সে এখন দলের নেতা!’ বিস্ফোরক ত্রিবেদী

cfd2a325c0226eb4987d33ad9dedacb9

নয়াদিল্লি: বাংলা তথা দেশের রাজনৈতিক মহলকে কার্যত নাড়িয়ে দিয়ে আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আজ ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী। পদত্যাগ করার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, দম বন্ধ হয়ে আসছে তাঁর, বাংলায় যে পরিমান হিংসা হচ্ছে তা দেখে তিনি ভারাক্রান্ত। চাইলেও তিনি কাজ করতে পারছেন না এবং মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না। সংসদ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরো বিস্ফোরণ ঘটালেন তিনি। বললেন, এখন দলের নেতা এমন যে রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানে না।

এ দিন সংসদ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, “আমি কার কাছে নিজের বক্তব্য জানাবো? কারুর কাছে সময় নেই। কর্পোরেট পেশাদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে দল। সেই যাবতীয় কাজকর্ম চালাচ্ছে। এমন একজন দলের নেতা হয়েছে যে রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানে না। এই পরিস্থিতিতে কেউ কি করতে পারে?” অন্যদিকে দলবদল করছেন কিনা এই প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন নিজের সঙ্গে আছি। আমি এখন খুবই স্বস্তিতে। নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো রকম অনুতাপ নেই”। এই মন্তব্য করে কার্যত দল বদল প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। 

 

‘দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’, এই মন্তব্য করে রাজ্যসভা থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। ইস্তফা দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, প্রতিটা মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন তাকে অন্তরাত্মার কথা শুনতে হয়। এই ধরনের পরিস্থিতি এর আগেও রেল মন্ত্রী থাকাকালীন তৈরি হয়েছিল তাঁর জীবনে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, এই রকম পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয় দেশ আগে না দল আগে, না ব্যক্তি নিজে। দীনেশের কথায়, বাংলায় যে পরিমাণ হিংসা হচ্ছে তা দেখে তার মন ভারাক্রান্ত। দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোনরকম কাজ করতে না পেরে। সেই কারণেই তিনি আজ রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন সাংসদ হিসেবে। তাৎপর্যের বিষয়, ঠিক দু’দিন আগে অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য পেশ করেছিলেন তার কিছুটা অংশ তুলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে তার প্রশংসা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *