নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: একুশের নির্বাচনের আগে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল! একুশের নির্বাচনের আগে যখন একের পর এক হেভিওয়েট নেতার দলত্যাগে জেরবার রাজ্যের শাসক শিবির, তখন তৃণমূলকে দলকে আরো কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। কিন্তু দলীয় অসন্তোষের এই আবহে যে গেরুয়া শিবিরও খুব একটা স্বস্তিতে নেই, বিক্ষিপ্ত ঘটনায় সামনে আসছে সে কথাও। রবিবার গেরুয়া গোষ্ঠী কোন্দলের আরও এক নিদর্শন এদিন দেখা গেল রবিবার দুপুরে।
দলীয় পদ থেকে অপসারণের প্রতিবাদে এদিন বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা শুভঙ্কর দত্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর অনুগামীরাও। কিন্তু এমন কি হল যার জন্য বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হলেন এই বিজেপি নেতা? অভিযোগ, সোনারপুরে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে শুভঙ্কর বাবুকে। অবিলম্বে পুরোনো পদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতেই এদিন কলকাতায় দলের সদর দফতরের সামনে জমায়েত করেন তিনি। বলা বাহুল্য, হেস্টিংস কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতার অসন্তোষের এই চিত্র রীতিমত এদিন অস্বস্তিতে ফেলে বিজেপি নেতৃত্বকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খান তাঁরা।
সূত্রের খবর, সোনারপুর বিজেপির প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর দত্ত মজুমদার ও তাঁর অনুগামীদের এই বিক্ষোভের সময় হেস্টিংস অফিসে উপস্থিত ছিলেন গেরুয়া নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবাদী নেতাকে যথাসম্ভব বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাতে বিশেষ সুবিধা হয়নি। বেশ অনেকক্ষণ ধরেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। অবশ্য রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের সামনে গেরুয়া কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের ছবিটা নতুন নয়। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এই চেনা দৃশ্য দেখা যায় শহরে। কিন্তু একুশের ভোটের আগে রাজনৈতিক আবহে বিরোধী শিবিরের এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। একইসঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদের চিন্তার কারণও বটে।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরেই নির্বাচনী আবহে বাংলায় ক্রমাগত দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক রদবদলের ছবি। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নেতারা একের পর এক হাতে তুলে নিচ্ছেন গেরুয়া পতাকা। এতে দলের লাভ হলেও বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলকেও ত্বরান্বিত করছে এই দলবদল। অভিযোগ তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে আসছেন তাঁরা দলে অতিরিক্ত গুরুত্ব পাচ্ছেন। কিন্তু সেই জোয়ারে ম্লান হয়ে যাচ্ছেন বিজেপির আদি নেতারা। যা স্বাভাবিকভাবেই হয়ে উঠছে দ্বন্দ্বের কারণ