কলকাতা: বামেদের নবান্ন অভিযানে আহত DYFI কর্মীর মৃত্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ দফায় দফায় চলছে বামেদের বিক্ষোভ কর্মসূচি৷ অভিযোগ পুলিশের বেপরোয়া লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে বাম যুব কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার৷ এদিন নবান্ন থেকে ‘মা’ প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও উঠে আসে মুইদুল প্রসঙ্গ৷ কথা শুনেই মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- কাঠগড়ায় মমতার পুলিশই! নবান্ন অভিযান নিয়ে আক্ষেপ যাচ্ছে না মইদুলের স্ত্রীর
এদিন অনুষ্ঠান শেষে ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এক সাংবাদিক৷ সে কথা শুনেই চটে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি কোনও মৃত্যুকে সমর্থন করি না৷ যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক৷ তবে কেন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্য প্রসঙ্গ তোলা হচ্ছে?
ওই সাংবাদিককে সরাসরি প্রশ্ন করেন, কোন মিডিয়ার প্রতিনিধি তিনি৷ জবাবে তিনি জানান, গণশক্তি পত্রিকা৷ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সে জন্যই আপনার এত আগ্রহ৷ ক্ষিপ্ত সুরেই তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি যে সকালে সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম, সেই কথাটা কি উনি বলেছেন? এটা কি গণশক্তিকে জানিয়েছিল উনি?’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে৷ পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ করা হয়নি৷ তিনদিন আগে এই ঘটনার কথা তাঁর পরিবারের লোককেও জানানো হয়নি৷
আরও পড়ুন- ‘৫ টাকায় ডিম-ভাত ইউনিক আইডিয়া’, ‘মা’ প্রকল্পের সূচনায় মমতা
পুলিশ এই বিষয়টি দেখছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও মৃত্যুকে সমর্থন করিনা৷ এটা দুঃখজনক৷ সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, যে কারণেই মৃত্যু হয়ে থাক না কেন তাঁর পরিবার যদি চায় তাহলে কোনও একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে৷ এছাড়াও তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করার জন্যও আমরা তৈরি আছি৷’’
সেই সঙ্গে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কোনও মুখপত্র রাজনৈতিক ভাবে কোনও প্রশ্ন করবেন না৷ কারণ জাগো বাংলাকেও আমি এখানে স্থান দিই না৷’’