কলকাতা: আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন। তার আগে একাধিক সমীক্ষা চালিয়ে অনুমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে এই মুহূর্তে কোন রাজনৈতিক দল এগিয়ে বা পিছিয়ে রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এবার সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থা সিএনএক্স। ২৩ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চালানো হয়েছে এই সমীক্ষা। এতে অংশ নিয়েছিলেন ৮,৯৬০ জন। বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে জিতলে তাদের সরকারের কোন কোন বিষয়ে অগ্রাধিকার রাখা উচিত সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ৩৫ শতাংশ মানুষ চান কর্মসংস্থানের উপর জোর দিক ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। এর পাশাপাশি ২৯ শতাংশ মানুষ মনে করছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করাই মূল কর্তব্য হওয়া উচিত বিজেপির। ১৮ শতাংশ চান নির্বাচনে জিতে বাংলায় ক্ষমতায় এলে বিজেপি এনআরসি চালু করুক। দুর্নীতি কমানো মূল ইস্যু হওয়া উচিৎ এমনটাই মনে করছেন ১৩ শতাংশ মানুষ।
সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে অর্থাৎ গত ১০ বছরে কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি বা অবনতি হয়েছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, ৩১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন রাস্তাঘাটে উন্নতি হয়েছে এবং ২৫ শতাংশ মানুষের মতে অবনতি হয়েছে রাস্তাঘাটে। সরকারি হাসপাতালে উন্নতি হয়েছে মনে করছেন ২৫ শতাংশ মানুষ, এদিকে ৩৬ শতাংশ মানুষের মতে সরকারি হাসপাতালে অবনতি ঘটেছে। একই সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোন বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভোট দেবেন এই প্রশ্নের উত্তর সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, ৪২ শতাংশ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পারফরম্যান্স দেখে ভোট দিতে চান। ২২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন কেন্দ্রীয় মোদী সরকারের পারফরম্যান্স দেখে ভোট দেবেন। ৩০ শতাংশের মতো স্থানীয় বিধায়কের পারফরম্যান্স দেখে ভোট দেবেন। স্থানীয় পুরসভা অথবা পঞ্চায়েতের পারফরম্যান্স দেখে ভোট দেবেন ৬ শতাংশ।
এদিকে, জানা গিয়েছে, ৪১ শতাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ১০ নম্বরে ০-৪ নম্বর দিচ্ছে। অন্যদিকে, ১৮ শতাংশ মানুষ দিচ্ছে ৫-৭ নম্বর। আবার ৮-১০ নম্বর দিচ্ছে ৪১ শতাংশ মানুষ। এর পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ইস্যুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে ধরা হচ্ছে বেকারত্বকে। ২৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ইস্যু বেকারত্ব। ২৩ শতাংশ মানুষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলছেন। পাশাপাশি ২০ শতাংশ মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছেন উন্নয়নকে এবং ১৬ শতাংশ মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে। ১২ শতাংশের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে দুর্নীতি।