কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের হঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ এদিন বিজেপি’র সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, টেট পরীক্ষায় চরম দুর্নীতি হয়েছে৷ কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি৷ শুধুমাত্র রোল নম্বর টাইপ করলে দেখা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী পাশ করেছেন, নাকি ফেল৷ গোটা প্রক্রিয়াটাই চূড়ান্ত অস্বচ্ছ, দুর্নীতিতে ভরা৷ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে টেট নিয়োগ বাতিল করা হবে৷ পাশাপাশি সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ভোট কর্মীদের টিকাকরণের প্রস্তুতি শুরু, প্রাথমিকভাবে সাড়ে চার লক্ষ
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, এই প্রার্থীরা কোন মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷ প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার অভিযোগে কিছু প্রার্থী আদালতে গিয়েছিলেন৷ সেই মামলার রায় আজও অপ্রকাশিত৷ এই মামলার রায় বেরবে সম্ভবত মার্চ মাসে৷ যাঁরা এই মামলা করেছিলেন, অদ্ভূতভাবে তাঁদের নাম নয়া তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে মামলা করাটাই যদি একমাত্র যোগ্যতা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক৷
অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, টেট দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা মন্ত্রীর নাম জড়িত রয়েছে৷ যাঁদের পরিবারের একাধিক সদস্যরা চাকরি পেয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে৷ তাঁর কথায়, ২০১৭ সালে কিছু নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়ে গেল৷ তাঁরা এখন চাকরিও করছেন৷ তারপর নতুন করে এই তালিকায় প্রকাশ করা হল৷ যেখানে এমন বহু মানুষের নাম রয়েছে যাঁদের একমাত্র যোগ্যতা মামলাকারী হিসাবে৷
এছাড়াও তফশিলি জাতি-উপজাতি সহ কোন বিভাগে কত আসন রয়েছে তার কোনও স্পষ্ট হিসাব নেই৷ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রতারণা করে হয়েছে৷ গত দশ বছরে মাত্র ২টি টেট৷ তাও কোনওটাই দুর্নীতির বাইরে নয়৷
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪৭ জন চিকিৎসক অধ্যাপকের নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয়৷ সেই তালিকায় একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে৷ একই চিকিৎসকের নাম রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে৷ বহু যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি৷ উচ্চশিক্ষিতরা এখানে সুযোগ পাননি৷ সুযোগ পেয়েছেন সাধারণ এমবিবিএসরা৷
আরও পড়ুন- ‘বন্ধু’ যশ পদ্ম শিবিরে নাম লেখাতেই টুইট খোঁচা নুসরতের!
এছাড়াও এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক তৈরি করার মধ্যে দিয়ে এ রাজ্যে বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও তিনি সুর চড়ান৷ তাঁর কথায়, বেকারদের ভাতা দিয়ে সহযোগিতার কথা বলে হচ্ছে৷ এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত কথা৷