কলকাতা: মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার যাদবপুর থানা ঘেরাও করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম সংগঠন এসএফআই। পুড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল। স্লোগান উঠলো, ‘শহিদ মইদুলের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ, মমতা ব্যানার্জির পুলিশের অত্যাচার মানবো না মানছি না।” অবরোধে থমকে যায় যাদবপুর থানা এলাকার ট্রাফিক।
দিন কয়েক আগে তৃণমূল আমলে দীর্ঘদিন এসএসসি ও টেট পরীক্ষা না নেওয়ার প্রতিবাদে বাম সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জে প্রথমে আহত হন বাঁকুড়ার বাম কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা। কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ১৩ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ও বুধবার সারা রাজ্যে এসএফআই সংগঠনগুলি স্থানীয় থানা ঘেরাও করে ওই বাম কর্মী খুনের প্রতিবাদে। বুধবার সেইমতে যাদবপুর থানা অভিযানে বেরোয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ছাত্র সংগঠন।
বিকেল পাঁচটায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট থেকে মিছিল করে জনা পঞ্চাশেক এসএফআই কর্মী যাদবপুর থানা দিকে রওনা হয়। থানার সামনে এসে তারা বিক্ষোভ করে। পুলিশরা থানার গেট বন্ধ করে দিলে দরজা খোলার জন্য হাতাহাতি শুরু করে বাম কর্মীরা। ভিতরে ঢুকে পুলিশের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চায় তারা। পুলিশের কাছে তাদের দাবি, “কমরেড মইদুল ইসলাম মিদ্যার খুনের জবাব দিতে হবে পুলিশকে।”
শেষে দু-একজন কর্মী থানার গ্রিল টপকে ভেতরে প্রবেশ করলে বাম সংগঠনের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয়ে পুলিশ। থানার ভিতরে ঢুকে সেখানে অবরোধ করে স্লোগান তুলতে থাকে তারা। সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪ জন কর্মী তাদের দাবি জানাতে ঢুকে যায় থানার একেবারে অন্দরমহলে। কিন্তু বেরিয়ে আসার পর তারা জানায়, “পুলিশের কাছে মইদুল ইসলাম মিদ্যার খুনের কোনও জবাব নেই। চক্রান্তকারী মমতা ব্যানার্জির পোষা পুলিশ উল্টে ভুয়ো মামলায় নাম ঢুকাতে চাইছে এসএফআইয়ের কয়েকজন কর্মীর।”
জবাব না পেয়ে যাদবপুর থানার সামনে রাস্তা আটকে অবরোধ করে এসএফআই কর্মীরা। প্রতিবাদে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল। আধঘণ্টার বিক্ষোভ শেষে এসএফআই নেতারা আগামীকাল ‘রেল রোকো’ কর্মসূচির ঘোষণা করে। তারা জানায়, “আমরা চাইলে এই কটা ছাত্র-ছাত্রী মিলেই থানা দখল করতে পারতাম। কিন্তু আমরা শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। আমরা তা করবো না। কিন্তু বারবার বিক্ষোভ করে পুলিশকে তাদের জবাব দেওয়াতে বাধ্য করবো।’’