কলকাতা: দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন রাজ্যের শ্রমদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। গতকাল রাতের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। প্রাথমিক পর্যায়ে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলেও এদিন ভোর রাতে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। তিনি এখন আপাতত সুস্থ রয়েছেন এবং বিপন্মুক্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মন্ত্রীর পাশাপাশি দেহরক্ষী সুজন বিশ্বাসকেও এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাতের মাত্রা বেশি। তাঁরও অস্ত্রোপচার করা হবে। এদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিআইডি এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে সেখানে যাবে ফরেন্সিকের একটি দল। সেই দলে রয়েছেন ৭ জন বিশেষজ্ঞ। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি বলেও জানা গিয়েছে।
গতকাল রাতে মারাত্মক হিংসার ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে। রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন গুরুতর আহত হন বোমার আঘাতে। দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় মন্ত্রী সহ আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৪ জন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এই কাজ করেছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তিনি বলছেন, রাজনীতিতে হিংসার কোন জায়গা নেই। মুর্শিদাবাদে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা বঙ্গ রাজনীতির কালো দিন। এর পাশাপাশি তিনি মন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। একইভাবে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের। তাঁর বক্তব্য, এই ঘটনা একেবারেই পূর্বপরিকল্পিত। প্রশাসন গোটা ঘটনার তদন্ত করুক এই আশাই রাখছেন তিনি।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জাকির হোসেনকে সব এবং ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বলতেও দ্বিধা করেননি। নিজের ফেসবুক পোস্টে অধীর রঞ্জন চৌধুরী লেখেন, “জাকির হোসেন এর ওপর আক্রমণের আমি তীব্র নিন্দা করছি। অপরাধীদের গ্রেফতার চাই, শাস্তি চাই। সে তৃণমূলের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব, পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি, মানুষের বন্ধু, সে নিজের পরিচয়ে জেতে ও বিধায়ক হয়। সততার রাজনীতি তৃণমূল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়! সে সৎ তাই হামলা হল। তৃণমূল দলের দৈত্য কূলে প্রহ্লাদ জাকির।”