কলকাতা: এদিন সকালে বোমার আঘাতে গুরুতর আহত রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনকে হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে এই ঘটনার জন্য রেলের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। দাবি করেছেন, রেল ‘ক্যাজুয়াল’ ছিল। এছাড়া বিস্ফোরণে যাদের হাত এবং পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হবে বলে এ দিন ঘোষণা করেছেন তিনি।
মমতার কথায়, একজন মন্ত্রী আমজনতার মত ট্রেন ধরতে যাচ্ছেন, ট্রেনের টিকিট কেটেছেন, সেই অর্থে রেলের সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নয়। কিন্তু যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে নাকি কোনো রেল পুলিশ ছিল না। যাঁরা জাকিরের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, রিমোট কন্ট্রোলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। মমতা বলেছেন, ওই ঘটনার দায়িত্ব রেলকে নিতে হবে। তাঁর কথায়, ঘটনাটা ঘটেছে রেলের জায়গায়। অথচ রেল গোটা বিষয়টাকে খুব হাল্কা ভাবে দেখছে। ঘটনাটা যখন ঘটে, তখন স্টেশন চত্বরের ওই এলাকা পুরোপুরি অন্ধকার ছিল। কাছাকাছি কোনও রেল পুলিশও ছিল না। আজ তিনি ঘোষণা করেছেন, যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা এবং যারা অল্প আহত হয়েছেন তাদের পরিবার পিছু ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলেও এদিন ভোর রাতে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। তিনি এখন আপাতত সুস্থ রয়েছেন এবং বিপন্মুক্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মন্ত্রীর পাশাপাশি দেহরক্ষী সুজন বিশ্বাসকেও এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাতের মাত্রা বেশি। তাঁরও অস্ত্রোপচার করা হবে। এদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিআইডি এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে সেখানে যাবে ফরেন্সিকের একটি দল। সেই দলে রয়েছেন ৭ জন বিশেষজ্ঞ। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, রেল ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে।