কলকাতা: এমন কিছু আসন আছে যেখানে বিশেষ নজর প্রয়োজন। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগে তাদের সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য পরিচিত নেতাদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই আসনগুলিতে।
প্রায় ১০৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রকে নির্বাচনের আগে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। এই নির্বাচনকেন্দ্রগুলির বেশিরভাগই বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অঞ্চলে। এই নির্বাচনকেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের কাছে বিজেপি পৌঁছতে প্রায় ২২ জন নেতাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিব প্রকাশের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নেতাদের এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ২৫ ফেব্রুয়ারি বা ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এই নেতাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারেন।
এক বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, “দলীয় সভাপতির সাথে বৈঠক হবে। পরিকল্পনা হবে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নেতাদের সবাইকে কাজের দায়িত্ব এবং অতিরিক্ত চার্জ দেওয়া হবে। তিন থেকে ছয় টি নির্বাচনী অঞ্চল দেওয়া হবে ।” যে কয়েকজন বিজেপি নেতা এই দায়িত্বে থাকছেন – তারা জাতীয়স্তরের। তারা হলেন – নিশিকান্ত দুবে, বিনোদ শনকর, বিনোদ টাওডে, ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রদীপ সিং বাঘেলা, বসন্ত পান্ডিয়া, আর কে সিং, মঙ্গল পান্ডে, রমেশ ভাদুরী, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, নিতিন নবীন, বিনয় সহস্রবুদ্ধে, আশীষ সেলার, রাধামোহন সিংহ, মদনলাল শর্মা, সতীশ উপাধ্যায়।
২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জিতেছিল। ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট তারা নিশ্চিত করেছে। যা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২২.৭৬ শতাংশ বেশি। এই ব্যাপক ভোট বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে কোনও কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। তা যে ধর্মীয় মেরুকরণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি বিধানসভায় বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামদলগুলি ফলাফল বিচার করতে হয় তবে দেখা যাবে বিজেপি প্রায় ১২২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৪৩.৬৯ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসনে জিতেছিল। লোকসভার ফলাফল বিচার করলে ১৬৩টি আসলে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার কথা। আপাতদৃষ্টিতে লোকসভার নিরিখে বিচার করলে বোঝা যায় তৃণমূল অন্তত ৪১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।