বোলপুর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে ফের বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগদান করে সশরীরে উপস্থিত না হওয়ার আক্ষেপ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুণ্য বাংলার এই মাটিতে আসতে না পারার জন্য আমি দুঃখিত। তবে সশরীরে না হোক, এভাবেই উপস্থিত হলাম৷”
এদিন বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে শিবাজী জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শিবাজী উৎসব’ কবিতার কয়েকটি পংক্তি পাঠ করেন। প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় তার শৌর্য্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “কোন দূর শতাব্দীর কোন এক অখ্যাত দিবসে/ নাহি জানি আজি/ মারাঠার কোন শৈলে অরণ্যের অন্ধকার ব’সে/ হে রাজা শিবাজী”। পাশাপাশি এদিন তিনি শিবাজির বীরত্ব প্রকাশ করে ওই কবিতা থেকেই বলেন, “তব কাল উদ্ভাসিয়া এ ভাবনা তড়িৎ প্রভাবত/ এসেছিল নামি”।
শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীকে ‘বাংলার মাটিতে বিশ্বের দর্পন’ বলে ব্যাখ্যা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ব মানবের একটি চিত্রকে শান্তিনিকেতনের এই পুণ্য ভূমিতে স্থাপন করেছেন। যে কারণে এই বিশ্বভারতী নাম যথাযথ অর্থ বহন করে৷” এই প্রসঙ্গে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আরেকটি কবিতার পংক্তি টেনে বলেন, “বাংলার ভূমিকে ঠাকুর বলেছেন, বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার ভূমি, পুণ্য হউক এই জীবন৷” পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “শুধুমাত্র বাংলা নয়, গুরুদেব ভারতের পুণ্যতা দেখিয়েও লিখে গেছেন হাজারো কবিতা৷”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা উচ্চারণের পাশাপাশি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনের নিবাসী ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের ভাগ্যবান বলেন। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনার বুধবার প্রার্থনা হলে প্রার্থনা করে নিজেদের শুদ্ধিকরণের সুবর্ণ সুযোগ লাভ করেন, যা সবার ক্ষেত্রে অমিল হয়৷” পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতনের পুণ্য ভূমিকে প্রণাম করেন এবং বলেন, “ফের এই মাটিকে স্পর্শ করার সুযোগ পেলে আমি নিজেকে আবার ধন্য মনে করব৷”