জলপাইগুড়ি: প্রাইমারি নিয়োগের মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কাউন্সিলিং নিয়ে চরম ভোগান্তির বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি জেলার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা জেলা প্রাথমিক কাউন্সিলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন গত ২ দিন ধরে। আর এই ঘটনায় রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দুর্নীতি ইস্যুতে ফের একবার রাজ্য সরকারকে তুলধনা করলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টেট নিয়ে এক বিশাল দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যে। তৃণমূল নেতারা কয়েক হাজার লোকের থেকে সিগারেটের খাপে করে টাকা খেয়েছেন। সেই টাকা বানের জলে ভেসে গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের উচিত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করা৷” পাশাপাশি তিনি বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে চাকরি প্রার্থীদের সুরাহা করার আশ্বাস দেন এদিন।
টেটের ফলাফল প্রকাশের পর মেধাতালিকায় নাম থাকায় কয়েক হাজার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ের জন্য ছুটে আসেন জলপাইগুড়ি। কিন্তু সেখানে বলা হয় তাদের কাউন্সেলিং হবে কলকাতায়। আর এই ভোগান্তির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা কাউন্সিলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার সকালে পুলিশের হস্তক্ষেপে এই তালা খোলা হলেও চলতে থাকে চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। তাদের দাবি, “কলকাতায় সেন্ট্রাল কাউন্সেলিং করা যাবে না। মেধাতালিকায় নাম আছে অথচ কাউন্সেলিং হয়নি এমন প্রার্থীদের জলপাইগুড়িতেই কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে৷”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ফের কলকাতা হাইকোর্টে জারি হয়েছে একটি মামলা। রাজ্যে এই নিয়োগের কোনোরূপ মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি, এমন অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রাজ্যের শীর্ষ আদালতে মামলা করে কয়েক হাজার প্রার্থী। আগামী শুক্রবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তবে এই মামলার জন্য ফের নিয়োগ পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সফল প্রার্থীরা।