কলকাতা: মাদক পাচার এবং সেবনের অভিযোগে গতকাল নিউ আলিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী এবং তার এক সঙ্গী প্রবীর দে’কে। ১০০ গ্রাম কোকেনসহ ধরা পড়েছিলেন তারা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে উত্তর হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যদিও এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেই প্রেক্ষিতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চক্রান্ত করে ফাঁসানো যদি হয়ে থাকে পামেলা গোস্বামীকে তাহলে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।
এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি পামেলা গোস্বামী সত্যিই দোষী হন তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু যদি প্রমাণ হয় তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে তাহলে আন্দোলনে নামবে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এই প্রেক্ষিতে সরাসরি তাঁর নিশানায় রাজ্যের শাসক দল। তিনি মন্তব্য করেছেন, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা মামলা করেছে রাজ্য সরকার। বিজেপিকে আটকানোর জন্য এই ধরনের কাজ করছে তারা। এবারেও হয়তো একই জিনিস ঘটেছে সে কারণে তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী বলা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও পামেলা গোস্বামীকে এখনই দোষী বলতে রাজি নন। গতকাল বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক এবং হুগলির বিজেপি মহিলা পর্যবেক্ষক পামেলা গোস্বামীকে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে যখন তাকে গ্রেফতার করা হয় তখন পামেলা গোস্বামীর কাছে কয়েক লক্ষ টাকার কোকেন ছিল। বিজেপির এই নেত্রীর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তারা একসঙ্গে ড্রাগ সরবরাহ করেন। এক্ষেত্রে পামেলা গোস্বামী এবং প্রবীর দে-র বিরুদ্ধে ড্রাগ সেবন করার অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে নিউ আলিপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় তারা নির্দিষ্ট সময় আসে এবং ড্রাগ সরবরাহ করে। সেই প্রেক্ষিতেই এরিন সকাল থেকে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ ফাঁদ পেতে রেখেছিল যাতে হাতেনাতে তাদের পাকড়াও করা যায়।