সাতসকালেই বাংলায় এল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোট উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে

সাতসকালেই বাংলায় এল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোট উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে

কলকাতা: আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে ঢুকতে চলেছে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এদিন সাত সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন ঘটল রাজ্যে। জানা গিয়েছে আজ মোট ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে পশ্চিমবাংলায়, ধাপে ধাপে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে ভোট মুখী পশ্চিমবঙ্গে। এদিন দুর্গাপুর স্টেশনে নেমেছে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদের মধ্যে এক কোম্পানি যাবে বাঁকুড়া এবং অন্য কোম্পানি বীরভূমের। বাকি ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অন্যান্য জেলায় মোতায়েন হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে আরো ১১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রাজ্যে।

চলতি মাসেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবার খবর ছড়িয়ে ছিল। কিন্তু এই মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বাংলায়। সেই কারণে মনে করা হচ্ছে আগামী মাসেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে চলেছে চূড়ান্তভাবে। আর ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাংলায় আগমন তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে আর বেশী সময় বাকি নেই। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা তাদের মধ্যে থাকছে সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি এবং সিআইএসএফ-র জওয়ানরা। গতবারের তুলনায় এবার অধিক পরিমাণ কেন্দ্র বাহিনী আসতে চলেছে বাংলায়৷ ৮০০ কোম্পানি বাহিনী আসতে পারে বাংলায়৷ স্পর্শকাতর বুথ বেশি হওয়ার সম্ভব তৈরি হয়েছে৷ এবার বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা৷ 

নির্বাচনের আগে ভোটারদের আশ্বস্ত করতে সাধারণত রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই সে উদ্দেশ্যে রাজ্যে পা রাখে বাহিনী। গত লোকসভা ভোটেও এর অন্যথা হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় ১ মাস আগে থেকেই রাস্তায় ঘুরে ঘুরে টহল দিয়েছিল ২৮ কোম্পানি বাহিনী। তারও আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিল ৪০ কোম্পানি বাহিনী। এবছর বাহিনীর আয়তন কেমন হবে তা নিয়ে যথারীতি শুরু হয়েছে জল্পনা৷ বিশেষত, একুশের ভোটের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখলে চাপা উত্তেজনা স্পষ্টই অনুভূত হয়৷ বস্তুত, এবারের ভোটের দীর্ঘদিন আগে থেকেই বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। একাধিক বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আবেদন নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতেও দেখা গেছে বিরোধীদের। করা হয়েছে অনাস্থার নালিশও। গত বিধানসভা নির্বাচন ছিল সাত দফার। এবার সেই সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + 3 =