রূপ বদলাচ্ছে শনি, ধরা পড়ল নাসার টেলিস্কোপে! দেখলে চমকে যাবেন

রূপ বদলাচ্ছে শনি, ধরা পড়ল নাসার টেলিস্কোপে! দেখলে চমকে যাবেন

f5c9d194dc78802f4f9f11db9120a6e9

নিউ ইয়র্ক: নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়ল শনির বলয়ের এক অদ্ভূত রূপ৷ গত ৪ জুলাই এই ছবি ধরা পড়েছিল হাবলে৷ পৃথিবী থেকে ৮৩৯ মিলিয়ান মাইল দূরে থাকার সময় সৌর পরিবারের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দানব গ্রহটির এই অসম্ভব সুন্দর ছবিটি তোলা হয়৷  সেই সময় শনির উত্তর গোলার্ধে চলছিল গ্রীষ্মকাল৷ 

e8d85127bb1c82ccb6b9323d04aa5c6a

আরও পড়ুন- মহাকাশ থেকে লেন্সবন্দি বেগুনি রঙের বিদ্যুৎ ঝলক, মন্ত্রমুগ্ধ নেটিজেনরা

হাবলের লেন্সে ধরা পড়েছে ছোট ছোট বায়ুমণ্ডলীয় ঝড়৷ এই ঝড়গুলি ক্ষণস্থায়ী৷ প্রায় প্রতি বছরই হাবলসের নজরে ধরা পড়ে এই ধরনের ঝড়৷ তবে ২০১৯ সালে হাবলের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছিল শনির উত্তর গোলার্ধে বছর বছর রঙ পরিবর্তন করছে বেশ কিছু ব্যান্ড৷ বলয়যুক্ত এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের বেশিরভাগটাই জুড়ে রয়েছে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম৷ রয়েছে অ্যামোনিয়া, মিথেন, জলীয় বাষ্প এবং হাইড্রোকার্বন৷ যার জন্যই এই দানব গ্রহের রঙ হলদে বাদামি৷ শনির অভ্যন্তরীণ অংশটি সম্ভবত লোহা-নিকেলের একটি কেন্দ্রস্থল ও পাথর (সিলিকন ও অক্সিজেন যৌগ) দ্বারা গঠিত।

f7e3f40573201c2a7ecab244a4f9ec15

আরও পড়ুন- এবার গ্রহের ভবিষ্যদ্বাণী করবে NASA-র তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

হাবল শনির উত্তর গোলার্ধে হালকা লাল রঙ-এর আবছায়ার ছবি তুলেছে৷ এটি সূর্যের আলো ও উত্তাপের কারণেও হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷ যা বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালনকে পরিবর্তন করতে পারে৷ অপর একটি তত্ত্ব বলছে, গ্রীষ্মের সময় অতিরিক্ত সূর্যের আলো আলোক-ধোঁয়াশার পরিবর্তন করছে৷ মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে নাসার গড্ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের প্রধান পর্যবেক্ষক অ্যামি সাইমন বলেন, ‘‘এটা আশ্চর্যজনক যে কয়েক বছর ধরে আমরা শনির ঋতুগত পরিবর্তন লক্ষ্য করছি৷’’ অন্যদিকে, সম্প্রতি দৃশ্যমান এই দানব গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে দেখা দিয়েছে নীল রঙ৷    

073a6b61f99823f553fd79ff430f1cf0

আরও পড়ুন- লক্ষ্য মঙ্গলে-রাজত্ব! NASA-র তুরুপের তাস এই কিশোরী

হাবাল-এর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি শনির বলয়ের সূক্ষ একাধিক ছবি তুলেছে৷ দেখা গিয়েছে, শনির বেশিরভাগ বলয়ই তৈরি হয়েছে বরফের টুকরো দিয়ে৷ ছোট ছোট দানা থেকে রয়েছে বিশালাকার পাথর৷ শনির এই বয়ল কী ভাবে তৈরি হয়েছে, তা আজও সৌরজগতের এক বৃহত্তম রহস্য৷ সাধারণত মনে করা হয়, এগুলি গ্রহের মতোই পুরনো৷ যাদের বয়স ৪ বিলিয়ন বছরেরও বেশি৷ তবে এই বলয় এতটাই উজ্জ্বল এবং তাজা পতিত তুষারের মতো যে, অনেকেরই ধারণা এই বলয় তৈরি হয়েছিল ডায়নোসর যুগে৷ যদিও এই বিষয়ে আজও কোনও সন্তোষজনক তত্ত্ব নেই৷ যার থেকে প্রমাণ হয় কয়েক মিলিয়ন বছর আগে এই বলয় তৈরি হয়েছে৷ তবে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম সদস্য মাইকেল ওয়াং জানান, ‘‘নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযানের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী শনির এই বলয় তৈরি হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন বছরেরও আগে৷’’  আরও পড়ুন নাসার https://www.nasa.gov/feature/goddard/2020/hubble-sees-summertime-on-saturn এই লিঙ্কে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *