সিউড়ি: বিশ্বভারতীর পাঁচিল বিতর্ক হোক বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জনসভা, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়েছে বীরভূম। এখান থেকেই প্রথম ‘খেলা’ হওয়ার স্লোগান তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্যের ভোট পূর্ববর্তী আবহে যা লাভ করেছে অপ্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা। এহেন বীরভূমই এবার ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে ফের উঠে এল শিরোনামে।
মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪টি অপরিশোধিত বোমা, এমনটাই জানা গেছে বিশেষ সূত্রের খবরে। রাস্তার ধার থেকেই বোমা গুলি পুলিশ উদ্ধার করেছে। দিনদুপুরে এভাবে বোমা উদ্ধারের কথা জানাজানি হতেই স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। কে বা কারা এই বোমার উৎসের সঙ্গে জড়িত এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বস্তুত, তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে এর আগেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। মাস কয়েক আগে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ এই জেলা থেকেই আটক করা হয়েছিল বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে।তাঁরা এলাকার এক হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাকে খুনের চক্রান্ত করছিল বলেও জানা গিয়েছিল পুলিশ সূত্রের খবরে। তার পর ফের আজকের এই অপরিশোধিত বোমা উদ্ধারের ঘটনা ভোটের আগে প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বোমা হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। মুর্শিদাবাদে নিমতিতা রেল স্টেশনে তাঁকে লক্ষ করে অপরিশোধিত বোমা নিক্ষেপ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন জাকির হোসেন। ভোট যতই এগিয়ে আসছে বাংলা জুড়ে রাজনৈতিক হিংসাও যেন ততই বেড়ে চলেছে। জাকির হোসেনের মতোই কোনো হামলার ছক কি কষা হচ্ছিল বীরভূমেও? শুরু হয়েছে জল্পনা।