বেকারত্বে বাংলাকে পিছনে ফেলল ‘ডবল ইঞ্জিন’ ত্রিপুরা! কেন্দ্রীয় রিপোর্টে BJP-র অস্বস্তি

বেকারত্বের হারে দেশের মধ্যে শীর্ষে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা, বাংলায় তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি কর্মসংস্থানে

fd96555c4fdc93bb482166ab6b85b4a8

নয়াদিল্লি: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গেরুয়া বাহিনীর অন্যতম দাবি ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। অর্থাৎ কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, সেই দলকেই দরকার রাজ্যের মসনদেও, তবেই উড়বে প্রকৃত উন্নয়নের ধ্বজা- এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি উঠে আসা তথ্যের দিকে চোখ রাখলে কিন্তু এই দাবিতে খানিক অস্বস্তিতে পড়তে হবে গেরুয়া শিবিরকে।

বেকারত্বের হারে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শাসিত ‘সোনার’ ত্রিপুরা, এদিন এমনটাই দেখা গেল খোদ কেন্দ্র সরকারি রিপোর্টে। ত্রিপুরার বেকারত্বের হার গোটা দেশের তুলনাতে প্রায় দ্বিগুণ বেশি, রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্যই। কেন্দ্রীয় এই রিপোর্টের পর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া বাহিনীর বেকারত্ব বিরোধী প্রচারে ত্রিপুরা মডেল যে আর কাজে লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য।

এদিন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতায় জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস থেকে পেশ করা হয় ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে দেশ জুড়ে বার্ষিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সমীক্ষার রিপোর্ট। আর তাতেই উঠে এসেছে দেশ জুড়ে বেকারত্বের প্রকৃত ছবি। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে দেশের বেকারত্বের হার ৫.৮%, আর শুধু ত্রিপুরাতেই তা ১০%। এখানেই শেষ নয়, যে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্ব নিয়ে প্রবল সরব বিজেপি নেতৃত্ব সেখানে বর্তমান বেকারত্বের হার মাত্র ৩.৮%। খোদ কেন্দ্রীয় রিপোর্টেই এই স্বীকারোক্তি অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে।

শ্রমমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ববর্তী অর্থবর্ষে ত্রিপুরায় বেকারত্ব ছিল ৬.৮% , একবছরের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। উল্টোদিকে পশ্চিমবঙ্গছ এই হার গত বছরের তুলনায় (৪.৬%) তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমেছে বলেই প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট। উল্লেখ্য, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেল আগে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে গেরুয়া শিবির। তাঁদের দাবি বাংলা থেকে বেকারত্বের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে বিজেপি শাসিত গুজরাট কিংবা তামিলনাড়ুতে চলে যাচ্ছে যুবকরা। একমাত্র ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারই এই বৈষম্য দূর করতে পারে বলে মনে করেছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *