কলকাতা: মাদক কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে পড়েছে বিজেপি। নেত্রী পামেলা গোস্বামী গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। পামেলা রাকেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন। সব মিলিয়ে এখন মাদক কাণ্ড নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। এবার জানা গেল, আসল রহস্য উদঘাটন করার জন্য তিন রাজ্যে তল্লাশি চালাবে গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে প্রস্তুত করা হয়েছে ২৪ জনের জেরার তালিকা।
সূত্রের খবর, কলকাতা এবং কলকাতা সংলগ্ন জেলার বহু সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। এর পাশাপাশি ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেলেছে গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে তিন তিনটি রাজ্যে তল্লাশি চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন পামেলা এবং রাকেশ। তাই আসল রহস্য খুঁজে বের করতে এখন উঠে পড়ে লেগেছে গোয়েন্দা বাহিনী। তবে আসল ঘটনা যাই হোক, আপাতত মাদক কাণ্ড নিয়ে বিজেপি যে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রায় কোকেন রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বঙ্গ যুব মোর্চার সম্পাদক পামেলা গোস্বামীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পামেলা গোস্বামী দাবি করেন যে রাকেশ তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট রাকেশ সিং এর স্থগিতাদেশ চেয়ে সিং-এর আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়। পুলিশ তাকে পূর্ব বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করে। সূত্র মতে, তদন্তকারীরা বিজেপির উর্ধ্বতন নেতাদের তদন্তের আওতায় আনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি কারণ তাদের মধ্যে অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। মনে করা হচ্ছে, এই মাদক মামলা বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিবাদের সূত্রপাত ঘটিয়েছে, যেখানে উর্ধ্বতন নেতারা নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস থেকে কর্মী ধরে আনার নীতিকে দোষারোপ করেছেন। বিজেপির একটি অংশের মতে, রাকেশ সিং এবং পামেলা গোস্বামীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল টাকা লেনদেনের।