কলকাতা: শুক্রবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনসূচী নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুললেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানান, “৮ দফা ভোট মানেই সেটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নয়। আমাদের রাজ্যে আগেও পুলিশ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দিয়ে ভোট লুঠ হয়েছে।”
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোটগ্রহণের কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার ভোট হবে ২৭ মার্চ। শেষ দফার ভোটগ্রহণ ২৯ এপ্রিল হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এই নিয়ে এদিন মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, “এত তাড়াহুড়ো কিসের? ভোট শুধু করলেই হয় না। ভোটে যাতে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকে সেটাও দেখতে হয়। এর আগেও লকডাউনের মধ্যে যখন মিটিং-মিছিল সবকিছু সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল তখন মহারাষ্ট্রে ভোট করিয়ে সরকার পাল্টানো হল।”
বিজেপি ও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে এর আগে কখনও কোনও জীবন্ত মানুষের নামে কোনও সরকারি সম্পত্তির নামকরণ হয়নি। আমাদের রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে সরকারের টাকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজেদের ভোটের প্রচার করছে। কাগজ খুললেই হয় মোদী নয় মমতা, নাহলে দুজনের ছবি দেখতে হচ্ছে। আমাদের কাছে এত বড় বড় কর্পোরেট ফান্ড নেই। দেশের অর্থনীতি যখন নিম্নমুখী তখনও বিদেশি লগ্নিকারীদের থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে বিজেপি।”
নির্বাচন কমিশনকে ঠেঁস দিয়ে সিপিএম নেতার বক্তব্য, “৮ দফা ভোট করানো মানেই সেটা অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন নয়, এটা বুঝতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আমাদের রাজ্যে এর আগেও পুলিশ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দিয়ে দেদার ভোট লুঠ হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে হলে কমিশনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। ভোটের গণনাও যাতে অবাধ ও নির্ভুল হয় সেটাও নির্বাচন কমিশনকে দেখতে হবে।” তিনি জানিয়েছেন, “২৮ ফেব্রুয়ারি আমরা ব্রিগেড ডেকেছি। এটা একটা ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ হতে চলেছে। এই মঞ্চ থেকেই আমরা নির্বাচনী প্রচার শুরু করব।”