কলকাতা: শুক্রবার বিকেলে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু বেনজির ভাবে আট দফায় বাংলায় ভোট করানোর কথা ঘোষণা হতেই সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কাকে সুবিধা দিতে আট দফায় ভোট? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন- ব্রিগেডে আসতে ইচ্ছুক বুদ্ধদেব, চিকিৎসকদের অনুমতির অপেক্ষা
এই ঘোষণাকে সাঝুবাদ জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম যে, বাংলায় এমন ভাবে ভোট করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে নিজেদের মতাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন৷ পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ সে কারণেই নির্বাচন কমিশন আট দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলার পরিস্থিতি অন্য রাজ্যের থেকে আলাদা৷ তাই আট দফায় ভোট হলে তা শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে৷’’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে ভোট মানেই সন্ত্রাস, হিংসা, বুথ দখল৷ তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর দাবি জানিয়েছিলাম আমরা৷ তৃণমূল ও পুলিশের আঁতাতে বারবার ভোটে রক্ত ঝরেছে৷’’ রাজ্য প্রশাসনের উপর যে তাঁর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন অধীর চৌধুরী৷ তাঁর কথায়, যত বেশি নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে ততই ভালো৷
এদিকে বিজেপিকে ফায়দা দিতেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে এক দফায় ভোট করা হচ্ছে৷ অসমে ভোট হচ্ছে তিন দফায়৷ তাহলে বাংলায় আট দফা কেন? প্রশ্ন তোলেন মমতা৷ এমনকী কয়েকটি জেলাতে ভোট হচ্ছে দুই দফায়৷ তবে কি মোদী এবং অমিত শাহর সফর অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়েছে? প্রশ্ন তাঁর৷ মমতা বলেন, ‘‘এক জেলায় দু’দু-বার নির্বাচন হবে৷ ২৩ দিন ধরে বাংলাকে ফুটবল মাঠ বানিয়ে খেলবে৷’’
আরও পড়ুন- আগেও রাজ্যে ভোট লুঠ হয়েছে! ৮ দফা নিয়েও ভ্রু কোঁচকাচ্ছেন সেলিম
এদিকে মমতার প্রশ্নের জবাব দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল বলেন, ‘‘আট দফায় নির্বাচনের জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে৷ তাঁরা রাজ্যে যে ভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, সেটাই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ৷’’