নিষিদ্ধ হওয়ার ভয়ে ভারতীয়দের প্রাইভেসি পলিসিতে বদল পাবজি’র

এই গেমটি সবথেকে বেশি সংখ্যায় খেলে ভারতীয় শিশু, কিশোর এবং তরুণরাই। এই বিপুল পরিমাণ ব্যবহারকারীদের হারাতে চায় না সংস্থাটি।

 

সিঙ্গাপুর: এ বছর জুন মাসের শেষ দিকে টিকটক সহ ৪৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল ভারত সরকার। মাসখানেক পরে বাতিলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আরও বেশ কিছু। দেশ জুড়ে জোর জল্পনা উঠেছিল এবার নিষিদ্ধ হয়ে যাবে মোবাইল গেম পাবজি। গোটা পৃথিবীতেই বিখ্যাত এই খেলাটি আদতে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংস্থার তৈরি। কিন্তু তাতে শেয়ার রয়েছে এক চিনা সংস্থারও। পাবজি থেকেও ব্যবহারকারীর গোপনীয় তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কাও করা হয়েছিল। ভাবা হয়েছিল, পাবজি ব্যান এবার সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তা হয়নি।

 

এই গেমটি সবথেকে বেশি সংখ্যায় খেলে ভারতীয় শিশু, কিশোর এবং তরুণরাই। এই বিপুল পরিমাণ ব্যবহারকারীদের হারাতে চায় না সংস্থাটি। ব্যবসা বাঁচাতে ইতিমধ্যেই ভারতীয়দের জন্য প্রাইভেসি পলিসিতে কিছু বদল এনেছে তারা। এমনিতে এই গেমটি খেলতে হলে একটি অ্যাকাউন্ট বানাতে হয় যার জন্য দরকার হয় ই-মেল অ্যাড্রেস। এছাড়া, ফেসবুক, টুইটার কিংবা গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়েও চলে কাজ। এসব ক্ষেত্রে সেই অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ছবি এবং আরও কিছু তথ্য পাবজিতে শেয়ার হয়। কিন্তু পাবজি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই তথ্য কোথাও পাচার করা হয় না। নতুন পলিসিতে এ সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। 

 

তারা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের তথ্যগুলি খেলার সুবিধার্থেই সংগ্রহ করা হয়। নিরাপত্তার বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পাবজি জানিয়েছে, এই গেমটির সার্ভার আছে ভারত, সিঙ্গাপুর, হং কং এবং আমেরিকায়। ভারতীয় গেমারদের যাবতীয় তথ্য ভারতীয় সার্ভারেই জমা হয় এবং সেখান থেকে কোথাও যায় না। কোনও ব্যবহারকারী যদি তাঁর অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেন তো তাঁর সমস্ত তথ্য সাত থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পুরোপুরি মুছে যাবে। মোট কথা নিষিদ্ধ হওয়ার চাপে পড়ে তড়িঘড়ি আসরে নেমেছে পাবজি। দেশ জুড়ে তামাম গেমারদের তাই মনে খানিকটা হলেও স্বস্তি।     
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − seventeen =