কলকাতা: ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করছে বাম-কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের মহাজোট। সভার শুরুর দিকে মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন সিপিএমের সুজন, সূর্যকান্ত, সীতারাম থেকে কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী, আব্দুল মান্নান এবং আরো অনেকেই। কিন্তু সভা চলাকালীন দুপুর ১.৩০ মিনিটের দিকে ব্রিগেড মঞ্চে এসে উপস্থিত হলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের কর্ণধার ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। আর তাঁকে মঞ্চে স্বাগত জানাতে নিজের বক্তব্য থামিয়ে করজোড় করলেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
ব্রিগেড মঞ্চে নতুন দলনেতা আব্বাসের প্রবেশ ঘটতেই উপস্থিত জোট কর্মী সমর্থকেরা ‘আব্বাস আব্বাস’ ধ্বনি তুলে উছ্বাসে ফেটে পড়লেন। পাশাপাশি এদিন পীরজাদা আব্বাসকে স্বাগত জানাতে নিজের বক্তব্য থামিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রতি কটাক্ষ ও ক্ষোভের সুর শোনা গেল। এদিন মঞ্চে অধীর চৌধুরী বলেন, “এই বাংলায় সাম্প্রদায়িক বিজেপির আগ্রাসন এবং তৃণমূলের অপশাসন দুইই রুখতে হবে”। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “বাংলাকে হতাশা, নিরাশা গ্রাস করেছে”। এছাড়া আগামীর ভবিষ্যদ্বাণী করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “আগামী দিনে তৃণমূল, বিজেপি থাকবে না, সংযুক্ত মোর্চা থাকবে”।
বাংলায় মহাজোটের ব্রিগেড সমাবেশে আগামী দিনে বাংলায় রাজনৈতিক রণকৌশল স্থির করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এসেছে বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফের নেতারা। এই তিন দলের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক এদিনের সমাবেশে উপস্থিত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তবে আজকের সভায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই নিয়ে একটি বার্তায় বুদ্ধবাবু বলেছেন, “এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না। মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন, আর শারীরিক অসুস্থতার কারণে ডাক্তারজের পরামর্শ মেনে চলছি আমি। মাঠে-ময়দানে মিটিং চলছে, আর আমি গৃহবন্দি, যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি৷”