কলকাতা: শনিবার রাত থেকেই কলকাতার সভাস্থল ব্রিগেড গ্রাউন্ডে এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সমর্থকরা। পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া থেকে হাজার হাজার সমর্থক এসে পৌঁছান ময়দানে৷ মাদল বাজিয়ে গান গাইতে গাইতে জলপাইগুড়ির বানারহাট থেকে ব্রিগেডে যান অসংখ্য চাশ্রমিকরা। কংগ্রেস ও আইএসএফের সমর্থকেরাও ভিড় জমান৷ কারও গলায় ঝুলছে ‘টুম্পা, এসে গেছি’ প্ল্যাকার্ড৷ আজ এই সভাকে ঘিরে বিমান বসু, অধীর চৌধুরিরা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ‘ঐতিহাসিক’ এবারের ব্রিগেড সমাবেশ৷ আজ সভায় বিমান-সূর্য-অধীরের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা৷ এদিন সমাবেশে বক্তব্যের শুরুতেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা সভায় উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান৷ তারপরেই তিনি বলেন, “বাংলায় সুশাসন ফেরাতে আপনাদের উচিত আমাদের এই সংযুক্ত মোর্চাকে জেতানো৷”
এদিনের ব্রিগেড সমাবেশে ডি রাজা রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “বাংলায় তৃণমূল সরকার ব্যর্থ, তাদেরও হঠাতে হবে৷” পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও কড়া নিন্দার ভাষায় রাজা বলেন, “মোদিজি, আপনি জনতাকে বলুন, আপনি কার সেবক? নাগরিক নাকি ব্যবসায়ীদের?” পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতেই হবে বলে মন্তব্য করেন সিপিএম রাজ্যসভার সদস্য। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘‘দেশের সামনে এখন এক বড় চ্যালেঞ্জের সময় এসে দাঁড়িয়েছে৷ মানুষকে মানুষের অধিকারটা বুঝে নিতেই হবে৷” এছাড়াও বাংলায় এসে বিজেপির বিভিন্ন কার্যকলাপের সমালোচনা করে ডি রাজা এদিন বলেন, ‘‘সংবিধান মানছে না মোদি-শাহ৷”
একুশের ভোটে যেখানে বারবার তৃণমূল বনাম বিজেপি দ্বিমুখী লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এই ব্রিগেড সমাবেশকে হাতিয়ার করেই লড়াইয়ের অভিমুখ ঘোরাতে চাইছে বাম-কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷ পাশাপাশি এদিনের সভায় যোগদান করেছেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। তাঁর উপস্থিতি সংযুক্ত মোর্চার এই সমাবেশকে আরও কিছুটা শক্তির সঞ্চার ঘটাবে বলে আশাবাদী বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের৷