পাকিস্তানের মানচিত্রে শামিল প্রায় গোটা কাশ্মীর, ভূস্বর্গ হাতাতে নয়া কৌশল ইমরান সরকারের

শ্রীনগর: কাশ্মীরের ওপর পাকিস্তানের লোভ বহুদিনের। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে দ্বৈরথ চলছে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু এবার আরও একধাপ এগিয়ে গোটা কাশ্মীরকেই মানচিত্রের অংশ করে নিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজে মঙ্গলবার বিতর্কিত এই মানচিত্র প্রকাশ করেন। আর তারপর থেকেই নিন্দায় সরব হয়েছে ভারত।

শ্রীনগর: কাশ্মীরের ওপর পাকিস্তানের লোভ বহুদিনের। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে দ্বৈরথ চলছে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু এবার আরও একধাপ এগিয়ে গোটা কাশ্মীরকেই মানচিত্রের অংশ করে নিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজে মঙ্গলবার বিতর্কিত এই মানচিত্র প্রকাশ করেন। আর তারপর থেকেই নিন্দায় সরব হয়েছে ভারত।

কিছুদিন আগে নেপাল ভারতীয় ভূখণ্ডকে তাদের রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করে। নেপালের কেপি শর্মা অলি সরকার ভারতের তিনটি ভূখণ্ডকে নেপালের মানচিত্রের মধ্যে নিয়ে আসে। এই নিয়ে কিছুদিন আগেই সরগরম হয়েছিল ভারতীয় রাজনীতি। ভারত ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেও প্রকাশ্যে নেপালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি মোদি সরকারকে। এর ঠিক পরেই ইমরান সরকার একই ঘটনা ঘটল। তবে পাকিস্তান এবার শুধু কাশ্মীরই নয়, গুজরাটের জুনাগরকেও নতুন মানচিত্রে শামিল করেছে। গত বছর এই ৫ আগস্টের দিনেই ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। এ বছর অযোধ্যা রাম মন্দির জন্য নির্ধারিত হয় এই ৫ আগস্টই। এর আগের দিন নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে জটিলতা বাড়াল পাকিস্তান।

মঙ্গলবার এই ম্যাপ প্রকাশ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, দেশের নতুন ম্যাপ বিশ্বের সামনে আনলেন তাঁরা। ইমরানের মতে বিরোধী দলগুলোও এই মানচিত্রকে সমর্থন করেছে। এমনকী কাশ্মীরের নেতৃত্বও এর সমর্থন করেছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। এদিনই এই নতুন মানচিত্রকে সরকারি হিসেবে মান্যতা দেয় পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তরফেই জানানো হয় গত বছর কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে অবৈধ পদক্ষেপ করেছিল ভারত। এদিন তা বাতিল করা হল বলে জানায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, নতুন মানচিত্রে কাশ্মীর ভূখণ্ড এবং কাশ্মীরের জনগণের প্রতি ভারতের অবৈধ দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। তিনি এও বলেন কাশ্মীর নিয়ে এতদিন ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাতে কোন সুরাহা হয়নি। তাই এবার মানচিত্র প্রকাশ করে নাকি গোটা বিশ্বের সামনে সত্যতা প্রকাশ করেছে তারা। পাকিস্তানের নতুন এই মানচিত্রে আজাদ কাশ্মীর, গিলগিট-বালটিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই অঞ্চলগুলি ভারত ও পাকিস্তানের বিতর্কিত ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত। এমনকী কারাকোরাম পাস ও সিয়াচেনকেও নতুন মানচিত্রে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রকের দাবি সিয়াচেন পাকিস্তানের অংশ।

ভারতের তরফে অবশ্যই পাকিস্তানের নতুন মানচিত্রে বিরোধিতা করা হয়েছে। দেশের তরফে এই মানুষটিকে হাস্যকর এবং এর কোনও আইনি ভিত্তি নেই বলে জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − two =