‘কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কে দেখতে হবে না, মোদীর হাতে বাংলাকে তুলে দিন’, পিংলায় শুভেন্দু

‘কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কে দেখতে হবে না, মোদীর হাতে বাংলাকে তুলে দিন’, পিংলায় শুভেন্দু

পিংলা: মেদিনীপুরের পিংলায় জনসভা থেকে ফের আক্রমণাত্মক মেজাজে শুভেন্দু অধিকারী৷ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, ‘‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারাবই৷’’ বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার আসবেই৷ কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কে, দেখতে হবে না৷ নরেন্দ্র মোদীকে দেখে ভোট দিন৷ 

এদিন সভার শুরুতেই শুভেন্দু বলেন, গত কয়েকটি নির্বাচনে বাংলার মানুষ স্বাধীনভাবে  ভোট দিতে পারেনি৷ ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে যে ক’টি নির্বাচন হয়েছে তাতে অধিকাংশ জায়গাতেই মানুষ ভোট দিতে পারেনি৷ ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে অস্ত্রহাতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অসংখ্য জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়নপত্র দেওয়া থেকে আটকানো হয়েছে৷ ভোট গণনা কেন্দ্র থেকেও বিরোধীদের মেরে তাড়ানো হয়েছে৷ গ্রাম বাংলার কয়েক কোটি মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার৷ তাঁর অভিযোগ, আরামবাগ কেন্দ্রে কারচুপি করে তৃণমূলের প্রার্থীকে জেতানো হয়েছিল৷ সেদিন তৃণমূলে না থাকলে ঘাঁটাল, তমলুক, কাঁথি, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুরে কখনই তৃণমূল কংগ্রেস জিততে পারত না৷ দাবি শুভেন্দুর৷  

তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ এ মোদী-শাহ বলেছিলেন, ২০১৯ এ হাফ করুন, ২১–এ সাফ করুন৷ এবার তৃণমূল সাফ হবেই৷ মানুষ অপেক্ষায় আছে৷’’  এর পরেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘কে কোথায় দাঁড়াবে, প্রার্থী দেখার দরকার নেই৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসে আপনাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন৷ তাঁর হাতে বাংলাকে তুলে দিন৷ মোদীজি এখানে সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন৷’’ প্রসঙ্গত, এর আগে এক জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘কোনও প্রার্থী দেখতে হবে না৷ ২৯৪টি আসনেই আমি প্রার্থী৷ ’’ 

শুভেন্দু বলেন, নরেন্দ্র মোদী শুধু ভারতের প্রাধানমন্ত্রীই নন, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী৷ ৪৯২ বছর পর সুপ্রিম নির্দেশে অযোধ্যায় শান্তিপূর্ণ ভাবে, কারও রক্ত না ঝরিয়ে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদী৷ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষ না থাকলে আজকে পশ্চিমবাংলার মানুষ বাংলাদেশে থাকত৷ ইসলামিক রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে আমাদের থাকতে হত৷ শ্যামাপ্রসাদ আওয়াজ তুলেছিলেন৷ এক দেশে দুই বিধান চলবে না৷ কাশ্মীর থেকে আজ ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হয়েছে৷ তিন তালাক বন্ধ করা হয়েছে৷ সংখ্যালঘু মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে৷ 

তাঁর আর্জি, বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ে তুলতে হবে৷ কলকাতা আর দিল্লিতে একই সরকার গড়তে হবে৷ তোপ দেগে বলেন, বাংলার নেত্রী খামখেয়ালী৷ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মালিক যেটা ভাবেন সেটাই সত্যি৷ সঙ্গে জুটেছে তোলাবাজ ভাইপো৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − sixteen =