৪০ বছর পর রানির দুর্গে মিলবে প্রবেশের অনুমতি

৪০ বছর পর রানির দুর্গে মিলবে প্রবেশের অনুমতি

 লন্ডন:  যুগ যুগ ধরে রাজা রাজড়াদের জীবনচর্যা আমজনতার অত্যন্ত কৌতূহলের বিষয়। তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের কদর এখনও বেশি, কারণ সাধারণ মানুষের কৌতূহল নিবৃত্তি। গোটা বিশ্বে বৃটেনের রাজপরিবার আলাদ সম্ভ্রম আদায় করে। সেই রাজপরিবারের সম্পত্তি উইন্ডসর ক্যাসেলের ইস্ট টেরেস গার্ডেন প্রায় ৪০ বছর পর খুলে যাচ্ছে আমজনতার জন্য। যারা এই দুর্গ ভ্রমণের আসবেন তারাই দেখতে পারবেন ১৮২০-র শতকে তৈরি এই বাগান।

লন্ডনের পশ্চিমে অবস্থিত একাদশ শতকের এই দুর্গটি উইলিয়াম দ্য কঙ্কারারের আমলে তৈরী হয়। বাগান খোলা রাখা হবে গোটা অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের উইকএন্ডগুলিতে। বৃটেনে করোনা লকডাউন পর্বে স্কটল্যান্ড বেড়াতে যাওয়ার আগে শেষ কয়েক সপ্তাহ এই দুর্গেই কাটান রানি এলিজাবেথ। বাগানের ঠিক মাঝবরাবর একটি ফোয়ারাকে ঘিরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার গোলাপ ঝাড় রয়েছে। কয়েক শতক ধরে বিভিন্ন রাজার সৌন্দর্যের স্বাদপূক্ণ করেছে এই বাগান।

প্রাথমিক ভাবে দুর্গের ঘরগুলির জানলা দিয়ে সুন্দর দৃশ্য পাওয়ার কথা মাথায় রেখেই দুর্গের পূর্ব ভাগে এটির পরিকল্পনা করা হয়। ১৮২৪ সালে সম্রাট চতুর্থ জর্জের আমলে প্রথম বাগান তৈরী হয়। কিন্তু তার আগে মধ্যযুগে এটি ছিল একটি দুর্গ রক্ষার্থে তৈরী পরিখা। জানিয়েছেন উইন্ডসর ক্যাসেলেরভি লানিং কিউরেটর রিচার্ড উইলিয়ামস। দুর্গের দেওয়ালগুলিকে অটুট ও মজবুত রাখতে সম্রাট দ্বিতীয় চার্লস সপ্তদশ শতকে এই ছাদটি তৈরী করেন। এছাড়াও তিনি বোলিং পছন্দ করতেন বলে বেশ কিছু বোলিং লনও তৈরী করান। বাগানের বিভিন্ন অংশগুলিতে বড়সড়ভাবে রদবদল করে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয় উনবিংশ শতকে। রানি ভিক্টোরিয়া এবং প্রিন্স অ্যালবার্ট এই দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করেন। পরবর্তীকালে এই দায়িত্ব কাঁধে নেন বর্তমান রানি এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। টানা ১৯৭১ সাল থেকে তিনি এই বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যায়নের দিকে কড়া নজর রাখেন।

ফলে তাঁর হাতে পড়ে বাগান আরো সুন্দর হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হয়। রিচার্ড উইলিয়ামস জানাচ্ছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এত সুন্দর বাগানের গোটাটাই খুঁড়ে ফেলা হয় সবজি লাগানো হবে বলে। বাগানটি দুভাগে ভাগ করে ছোট প্রিন্সেস এলিজাবেথ ও তাঁর বোন প্রিন্সেস মার্গারেটের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যুদ্ধের সময় তাদের একান্ত উদ্যোগ হিসেবে তাঁরা সেখানে সুইট কর্ন ও টমাটো ফলাতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =