তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় থেকে বাদ ৫ মন্ত্রী-সহ ২৮ বিধায়ক!

তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় থেকে বাদ ৫ মন্ত্রী-সহ ২৮ বিধায়ক!

72578c44a54fd205e8892c45c1a06800

কলকাতা: আসন্ন বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ‘উচ্ছিষ্ট’ প্রাক্তন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট বিধায়ক। তাদের জায়গা নিয়েছেন টলিপাড়ার একঝাঁক নতুন মুখ। বাদ পড়া ২৮ জন বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন মন্ত্রীও। তার মধ্যে অন্যতম অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নাম। প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়নি কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুরও। অন্যদিকে, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ ভাঙ্গড়ের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম।

শুক্রবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের বহু প্রতীক্ষিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই তালিকা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তৃণমূলেরই একাংশে। দলের হয়ে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পাননি বেশ কয়েকজন বিধায়ক। ভাঙ্গড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে বিধায়ক পদের জন্য এবার প্রার্থী করেনি তৃণমূল। তার জায়গায় এবারে ভাঙ্গরে তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন সিপিআইএম নেতা চিকিৎসক রেজাউল করিম। অন্যদিকে, বামফ্রন্ট এবার ভাঙ্গরে নির্বাচনে দাঁড় করায়নি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাককে। বয়সজনিত কারণেই তাকে এবারের নির্বাচন থেকে বাদ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে।

রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্র থেকে তৃনমূলের মনোনয়নপত্র পাননি কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তার জায়গায় সেই কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন দু’দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেওয়া সংগীত শিল্পী অদিতি মুন্সি। বাদ গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও। খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে তার জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান কাজল সিংকে। বয়সের কারণেই অমিত মিত্রকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।

প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ গিয়েছেন নদিয়ার চাকদহের বিধায়ক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। সেখানে টিকিট পেয়েছেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক শংকর সিংহের ছেলে শুভঙ্কর সিংহকে। দক্ষিণ দিনাজপুরে তফশিলি কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। তার পরিবর্তে টিকিট পেয়েছেন কল্পনা কিস্কু। সিঙ্গুরে প্রার্থী হয়েছেন বেচারাম মান্না। দলের এই সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য। তিনি জানিয়েছেন, “বার্ধক্যজনিত কারণে কাজ করতে পারব না, এই অজুহাত ভোটের আগেই উঠেছে। এটা যদি ৫-৭ বছর আগে তুলে আমাকে বাদ দিত তাহলে এতটা আশ্চর্য হতাম না। এই বয়সেও দল যা নির্দেশ করেছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। তাই এটা একটা অজুহাত মাত্র।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *