ওয়াশিংটন: করোনা আবহে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে একাধিক ছোট বড় বেসরকারি সংস্থা। এমনকি একবছর পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের। এবার গুগল ও টুইটারের মতোই ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর সুবিধা পাবেন স্যোশাল জায়ান্ট ফেসবুকের কর্মীরাও। ২০২১-এর জুলাই অর্থাৎ আগামী প্রায় এক বছর বাড়িতে থেকেই অফিসের কাজ করতে পারবেন এই সংস্থা এবং এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কয়েকটি সংস্থার কর্মীরা। শুধু তাই নয়, বাড়িতেই অফিসের মত পরিকাঠামো তৈরির জন্য কর্মীদের ১০০০ মার্কিন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৫ হাজার টাকা, আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ফেসবুক। সংস্থার এক মুখপাত্র এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন ‘‘সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে এবং এবিষয়ে আমাদের সংস্থার অভ্যন্তরীণ আলোচনার মাধ্যমেই এই (করোনাভাইরাস) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, কর্মীরা ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে পারবেন।’’ ই-মেইল-এ এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘‘একইসঙ্গে বাড়িতে অফিসের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের পরিকাঠামো তৈরির জন্য কর্মীদের অতিরিক্ত অনুদান হিসেবে ১০০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে।’’
তবে জুকারবার্গের সংস্থা এও জানিয়েছে, যেসমস্ত জায়গায় সতর্কতা বিধি মেনে সরকারিভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং যেখানে গত দু’মাস ধরে করোনা সংক্রমণ নিয়মিত হারে কমছে, সেই সমস্ত জায়গায় ধীরে ধীরে অফিস চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নেওয়ায় সেখানে এই এ বছরের শেষের দিকেই সংস্থার অফিসগুলি খুলতে শুরু করবে।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জূকারবার্গের কথায় পরবর্তী দশক ধরে অর্ধেক তাদের সংস্থা কর্মীদের সম্পূর্ণভাবে বাড়ি থেকেই কাজের ব্যবস্থা করবে। তবে এমন অফিসের কিছু বিভাগ আছে যেখানে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব হবে না। যেমন, হার্ডওয়্যার ডেভলপমেন্ট, ডেটা সেন্টার, নিয়োগ, নীতি এবং অংশীদারিত্বের মতো বিভাগগুলি। প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের শেষের দিকে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগল তাদের কর্মীদের জন্য ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোম- এর কথা ঘোষণা করে। মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার আবার আরও একধাপ এগিয়ে তার কর্মীদের জন্য অনির্দিষ্টকালের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা ঘোষণা করেছে।