কলকাতা: কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে আবারও ডেকে পাঠানো হল রাজ্যের দুই আইপিএস অফিসারকে। আজ অর্থাৎ ৮ মার্চ কল্লোল গোনাই ও ৯ মার্চ অংশুমান সাহাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাচারের বিপুল অর্থ কোন খাতে ব্যাবহার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে সিবিআই সূত্রে উঠে আসছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সূত্র অনুসারে, রাজ্যের একাধিক আইপিএস অফিসার এখন সিবিআই রাডারে। কসবা ও বেলেঘাটর একাধিক বিলাস বহুল ফ্লাট, বাড়ির অর্থের উৎস মূল কি, তাও জানতে চায় সিবিআই। একই সঙ্গে, হুগলির একাধিক কোল্ড স্টোরেজ ও আলু ব্যবসায় পাচারের টাকা ও বিনিয়োগ করেছিলেন অফিসাররা বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি বিমান বন্দর সংলগ্ন পানশালা গুলোতে খাটানো হত এই অর্থ বলে সূত্রের খবর। সেই কারণেই এই বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই।
বৃহস্পতিবারই আইপিএস অফিসার অংশুমান সাহাকে নোটিস পাঠানো হয় বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অংশুমান সাহাকে নোটিস পাঠাল সিবিআই৷ নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এ দুর্নীতি দমন শাখায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে আজ৷ এর আগেও অংশুমান সাহাকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল৷ সেই সময় এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন তিনি৷ সিবিআই-এর বক্তব্য, এই মামলায় আদালত কোনও স্টে অর্ডার দেয়নি৷ এমনকী দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠানো যাবে না, এমন কোনও নির্দেশও নেই হাইকোর্টের৷ তাই ফের অংশুমান সাহাকে নোটেশ পাঠানো হয়৷ প্রসঙ্গত, অংশুমান সাহা ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার৷ এখন তিনি আসানসোল কমিশনারেটে কর্মরত৷ এই মুর্শিদাবাদই হয়ে উঠেছিল গরু পাচারের বধ্যভূমি৷ গরু পাচার কাণ্ডে এনামুল হকের গ্রেফতারির পর থেকেই বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছিল৷ গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে বারবার উঠে এসেছে অংশুমান সাহার নাম৷
আরও পড়ুন: একদা ছায়াসঙ্গী এখন বিজেপিতে! মিঠুন সম্পর্কে নীরব ‘অভিমানী’ মমতা!
এদিকে গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম পাণ্ডা বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করার তোড়তোড় শুরু করেছে সিবিআই৷ যার জন্য বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ওপেন ওয়ারেন্ট জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ প্রসঙ্গত, রেড কর্নার নোটিশ জারি করার আগে এই ওপেন ওয়ারেন্ট জারি করতে হয়৷ এর পরই ইন্টারপোলের অনুমতিতে বিভিন্ন দেশে ওয়ারেন্টের কপি পাঠানো হবে৷ শুধু গরু পাচার নয়, কয়লা পাচারের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে বিনয় মিশ্রের নাম৷ ফলে তাঁকে জেরা করলে অনেকটাই খুলে যাবে এই দুই মামলার জট৷