কলকাতা: গতকাল রাতের ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুলিশের হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়ালের। আজ লালবাজারে তাকে গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানালো কলকাতা পুলিশ। আজ লালবাজারে উপস্থিত ছিলেন মৃত পুলিশ অফিসারের স্ত্রীও। গতকাল রাতের স্ট্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডে এই পুলিশ অফিসার ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে চারজন দমকল কর্মী, রেল কর্মীসহ মোট নয় জনের।
প্রাথমিক পর্যায়ে কোনরকম প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, বহুতলের কোথায় আগুন লেগেছে বা, আগুনের উৎস কোথায় সেটা খুঁজতে গিয়ে লিফটে ওঠে উদ্ধারকারী দল। সেই দলে ছিলেন এরা সকলেই। পরবর্তী ক্ষেত্রে আগুন এবং দম বন্ধ হবার কারণে মৃত্যু হয় সকলের। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না করে কেন অগ্নিকাণ্ডের পরে লিফটে ওঠা হল। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তাতে শোকস্তব্ধ সকলেই। ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে ইতিমধ্যে।
আরও পড়ুন- অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু রাজনীতি, গাফিলতির অভিযোগ বিজেপির, নিশানা মমতাকে
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে দমকল। হেয়ার স্ট্রেট থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪এ (গাফিলতি), ১১জে এবং ১১এল ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরোক্ষভাবে রেলের দিকে আঙ্গুল তুলে মামলা দায়ের করেছে তারা। কারণ বিল্ডিংয়ের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বহুতলের বাইরে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, এই বহুতল রেলের মালিকানাধীন। যতই মামলা দায়ের আর একে অপরের দিকে আঙ্গুল তোলা হোক না কেন, লিফট চালানো নিয়ে বিতর্ক এখনো পর্যন্ত কমেনি। কারণ এই লিফটে করে উপরে যাওয়ার জন্যই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে গিয়েছে গতকাল। তাই স্বাভাবিকভাবে এই গাফিলতির দায় কার তা জানতে অবশ্যই উদগ্রীব সাধারণ মানুষ।