বিমার নামে ১কোটি টাকার প্রতারণা, CBI তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে সর্বশান্ত চিকিৎসক

বিমার নামে ১কোটি টাকার প্রতারণা, CBI তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে সর্বশান্ত চিকিৎসক

d4e3bf00e0250202271f74484ad43aec

কলকাতা: মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংকের চিকিৎসকের সাথে আর্থিক প্রতারণা৷ এক কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় CBI তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের৷

জীবনের সমস্ত সঞ্চয় খুঁইয়ে মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মনোরঞ্জন বাবু সর্বস্বান্ত৷ তিনি চান তার মত আর কেউ যেন এইভাবে প্রতারণার শিকার না হন বিমা সংস্থার প্রলোভনে৷ জীবনের শেষসঞ্চয়টুকু যারা আত্মসাৎ করেছেন, সেই সমস্ত অসাধু ব্যক্তি সঠিক সাজা হয়৷ তার মত, আর কোন অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ মানুষের ক্ষেত্রে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে৷  ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী ৬০বছরের উর্ধ্বে কোন ব্যক্তির দীর্ঘ মেয়াদী বিমা করা যায় না। সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক নামিদামি বিমা কোম্পানিতে লগ্নি করানো হয়েছে ওই চিকিৎসককে৷

মামলার বয়ান অনুযায়ী  মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংকে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মনোরঞ্জন আড্ডর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, অমিত মণ্ডল এবং গোপী শর্মা নিজেদের গ্লোবেজ গ্লোবাল টেলি শপিং লিমিটেড কোম্পানির এজেন্ট৷ তারা বিভিন্ন নামি দামি বিমা কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স করাতেন৷ অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মনোরঞ্জন বাবুকে প্রলোভন দেখিয়ে বলা হয়, বিমা কোম্পানিগুলিতে টাকা লগ্নি করলে দারুন মুনাফা পাওয়া যাবে৷ প্রথমে সন্দেহ হয় অবসরপ্রাপ্ত চিকিত্সকের৷ তাঁরা তখন ২৫ এ ক্যামাক স্ট্রিট (বর্ধান মার্কেট) অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসককে।

সদ্য অবসর নেওয়া চিকিৎসক সমস্ত গচ্ছিত টাকা ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে ৯০ লাখ২৪ হাজার ৭৯৯ টাকা বিভিন্ন পরিচিত বিমা কোম্পানিতে টাকা লগ্নি করেন ওই দুই যুবককে মাধ্যমে৷ অবসর চিকিৎসকে সেই সমস্ত কোম্পানির পলিসি সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়৷ দীর্ঘ দিন ওই দুই যুবককের যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁদের কোন ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি৷ অবশেষ বর্ধান মার্কেটের অফিসের গেলে সেখানে তালা ঝোলানো দেখে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ করেন৷ এর পর নবান্ন থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে জানালেও কোন সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ চিকিৎসক মনোরঞ্জন বাবুর৷ আইনজীবী আশীষ বাবুর অভিযোগ, বিমা কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা কি ভেবে ২৪ থেকে ২৫টি বিমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন৷ কোম্পানিগুলি কোন তথ্য যাচাই না করে কি ভাবে ৬০ বছরের উর্ধ্বে ব্যাক্তির নামে ২০ থেকে ২৫ বছরের মেয়াদি বিমা করা হয়? সুতরাং বিমা কোম্পানিগুলিই ভুয়ো ব্যাক্তি পাঠিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *