কলকাতা: নন্দীগ্রামে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যের ঘাসফুল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। গতকাল রাত থেকেই জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। দলনেত্রীর চোটে এবার গর্জে উঠলেন অনুব্রত মন্ডলও।
“বাংলার মেয়ে”র উপর পরিকল্পনা করে আক্রমণ করা হয়েছে, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। শুধু তাই নয়, ভোটের আগে এতদিন যিনি খেলা হওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন, এবার সেই তিনিই দিলেন বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। এদিন এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়ে দলনেত্রীর আঘাতের পাল্টা দেওয়ার কথা বলেন অনুব্রত মন্ডল।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট আদেও গুরুতর নয়, পুরোটাই নাটক করছেন তিনি, গতকাল চোটের কথা শুনে এমনটাই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। শুধু তিনিই নন, বিরোধীরা অনেকেই ভোটের আবহে চোটের অভিনয় করে জনগণের ‘সিমপ্যাথি’ কোড়ানোর অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এদিন অর্জুন সিংসহ সেই সমস্ত বিরোধীদের এক হাত নেন বীরভূমের নেতা অনুব্রত মন্ডল। তিনি বলেন, “এমন মন্তব্য অভিপ্রেত নয়। এবার এমন আন্দোলন হবে যা বিজেপিও সামলাতে পারবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর উপর ‘হামলা’র দলের তরফ থেকে কোনো তদন্ত হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবে।
উল্লেখ্য, বুধবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর রানিচকের এক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে খানিক কথা বলছিলেন তিনি। অভিযোগ তখনই কয়েকজন মিলে তাঁকে ধাক্কা দেয়। তড়িঘড়ি কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।