নয়াদিল্লি: একুশের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব। দিন কয়েক আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন জানাতে বাংলাতেও এসেছিলেন লালুপুত্র। তৃণমূল সুপ্রিমোর আঘাতে তাই চুপ করে থাকতে পারলেন না তিনি। বিহার থেকেই গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপর ‘আক্রমণে’।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোটের খবর পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হন তেজস্বী যাদব। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখেন, “কিছু গুণ্ডার মাধ্যমে মমতা ব্যানার্জির উপর এই কাপুরুষোচিত এবং ঘৃণ্য হামলার তীব্র নিন্দা করছি।” এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন আরজেডি নেতা। তিনি বলেন,”মনে রাখা দরকার পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ কিন্তু এখন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন, আর নির্বাচন কমিশন চালায় বিজেপি।” হেরে যাওয়া লড়াইয়ের ব্যর্থতা ঢাকতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালিয়েছে বিজেপি, তেমনটাই ইঙ্গিত দেন তেজস্বী যাদব।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ‘আক্রমণের’ নিন্দায় সরব হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। আম আদমি পার্টির নেতা এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখেন, “মমতা দিদির উপর এই আক্রমণের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যাঁরা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাঁদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া উচিত।” তৃণমূল সুপ্রিমোর দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর রানিচকের এক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে খানিক কথা বলছিলেন তিনি। অভিযোগ তখনই কয়েকজন মিলে তাঁকে ধাক্কা দেয়। তড়িঘড়ি কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। একসময় যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখা গেলেও এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।