কলকাতা: বিজেপি হোক কিংবা তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, নেতাদের রাজনৈতিক জীবনে অপরাধ জগতের কলঙ্ক নতুন নয়। বরং বলা ভালো, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে নিষ্কলঙ্ক নেতা খুব কমই আছেন। কখনো না কখনো কোনো না কোনো কারণে অপরাধের খাতায় নাম উঠেছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের, অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধ প্রমাণ ও তদন্ত সাপেক্ষ। পশ্চিমবঙ্গের ২০২১ সালের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নেতাদের অতীত কতটা কলঙ্কমুক্ত তা নিয়েই প্রকাশিত হল নতুন সমীক্ষা।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক নেতাদের অর্থনৈতিক ও অপরাধমূলক ইতিহাস পর্যালোচনা করে এদিন একটি রিপোর্ট পেশ করেছে বেসরকারি সমিক্ষক সংস্থা এডিআর বা দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)। এডিআরের এই রিপোর্টেই উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ২০০৪ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের যাবতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতাদের অতীত রেকর্ড যাচাই করে দেখেছে এই সংস্থা। তাঁদের রিপোর্ট ভোটমুখী বাংলায় সৃষ্টি করেছে নয়া চাঞ্চল্য।
ঠিক কী উঠে এসেছে এডিআরের রিপোর্টে? জানা গেছে ২০০৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রতিনিধিদের মধ্যে মোট ১১২১ জনের রয়েছে ক্রিমিনাল রেকর্ড। এঁদের মধ্যে ৮৩৩ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ গুরুতর। মোট ৬১৬৩ জন জনপ্রতিনিধির রেকর্ড যাচাই করেছে এডিআর। অর্থাৎ ক্রিমিনাল মামলার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৮% জনপ্রতিনিধি।
অর্থনৈতিক যাচাইয়ের রিপোর্টের দিকে নজর রাখলে দেখা যাচ্ছে, ২০০৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৬১৬৩ জন নির্বাচনী প্রতিনিধির মোট সম্পদের পরিমাণ ১.১৬ কোটি টাকা। অপরাধজগতের সঙ্গে নাম জড়ালেও অবশ্য এ রাজ্যে ভোটে লড়াই করতে এবং জিততে বাঁধা পান না নেতারা। সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিষ্কলঙ্ক অতীত সম্বলিত জনপ্রতিনিধিদের বাংলায় নির্বাচনে জেতার সুযোগ মাত্র ১৫%। উল্টোদিকে যাঁরা অপরাধের অভিযোগে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তাঁদের জয়ের সুযোগ রয়েছে ২৮%। ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এই অতীত বিষয়ক সমীক্ষা নিঃসন্দেহে বহন করছে আলাদা তাৎপর্য। দেখুন রিপোর্ট-https://adrindia.org/content/analysis-criminal-and-financial-background-details-candidates-and-mpsmlas-2004-west-bengal?fbclid=IwAR2nhfP58n9gvSwrgFdINEvHXNU7y-ZKuql73_ncu8kS76Xb2YgU8pn1p7M