গর্ভবতী শিক্ষিকাকেও ভোটের ডিউটি! কমিশনের আচরণে ক্ষুব্ধ ভোট কর্মীরা

মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা সত্ত্বেও ভোটের ডিউটি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কমিশনের বিরুদ্ধে

তমলুক: দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য জুড়ে তার প্রস্তুতিও এখন শেষ পর্যায়ে। নির্বাচন কমিশনের তরফে বেশ কিছুদিন ধরেই যথারীতি শুরু হয়েছে রাজ্যের ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া। কিন্তু ভোট যতই এগিয়ে আসছে কমিশন বিরোধী ক্ষোভ যেন ততই বাড়ছে শিক্ষক মহলে।

মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা সত্ত্বেও এক স্কুল শিক্ষিকাকে দেওয়া হয়েছে ভোটের ডিউটি, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের এক স্কুলে চাকুরিরতা ওই শিক্ষিকা কমিশনের জুলুমে নাজেহাল। তিনি ভোটের প্রশিক্ষণকালে অনুপস্থিত থাকলে উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে কমিশন, জানা গেছে তেমনটাই। বলা বাহুল্য ভোটের আবহে নির্বাচন কমিশনের এহেন জুলুম একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না শিক্ষা মহল।

জানা গেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণ চকমকরামপুর হাইস্কুলের ওই শিক্ষিকা গত নভেম্বর মাস থেকে রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। কিন্তু তাঁর কাছেও পাঠানো হয় ভোটের প্রশিক্ষণের তলব। অভিযোগ, তিনি ট্রেনিংয়ে নাম কাটানোর জন্য আবেদন করলে জেলার পিপি সেলে তাঁকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। এরপর ট্রেনিংয়ে অনুপস্থিত থাকলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে কেন ওই মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা জানতে চায় কমিশন। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। এই সমিতির রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন, “আমরা কমিশনের এহেন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

অন্যদিকে চকমকরামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপাল বারিকের কথায়, “ওই শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন, আমি তা কমিশনকে জানিয়েছিলাম। তাও ওনাকে ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। পিপি সেলে গিয়েও উনি ফিরে এসেছেন। কথা শোনা হয়নি।” ভোটের আবহে শিক্ষা কর্মীদের এই হয়রানির কি খুব প্রয়োজন ছিল? উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *