রিযাধ: দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বে ইতি টেনে পাকিস্তানকে ঋণ ও তেল সরবরাহ বন্ধ করল সৌদি আরব৷ কাশ্মীর ইস্যুতে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি) কোনও পদক্ষেপ না করায়, ওআইসি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইমরান খান সরকার। এর পরেই পাকিস্তানকে ঋণ হিসাবে তেল সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব৷
আরও পড়ুন- প্রয়াত স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গৃহপ্রবেশ বৃদ্ধ স্বামীর, পূর্ণতা পেল জীবনসঙ্গিনীর শেষ স্বপ্ন
অর্থনৈতিক দিক থেকে পর্যুদস্ত পাকিস্তান ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে সৌদি আরবের কাছ থেকে ৬.২ লক্ষ কোটি ডলার ঋণ নেয়৷ ঋণের শর্তে বলা হয়েছিল, ইসলামাবাদকে ৩ লক্ষ কোটি ডলার ঋণ এবং ৩.২ লক্ষ কোটি ডলারের তেল সরবরাহ করবে সৌদি আরব। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তান সফরের সময় এই চুক্তি সাক্ষর করেছিলেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন৷ কিন্তু সম্প্রতি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলি জানায়, ইসলামাবাদ ও সৌদি আরবের চুক্তির মেয়াদ ২ মাস আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এর পর রিয়াধ সেই চুক্তি আর পুনর্নবীকরণ করেনি৷ এই চুক্তির আওতায় সৌদি আরব পাকিস্তানকে বাকিতে তেল সরবরাহ করতো।
আরও পড়ুন- ঘরোয়া উপায়ে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করব কীভাবে? গুগল সার্চে ট্রেন্ডিং টিকার সন্ধান
পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির একটি মন্তব্যের জেরেই রিয়াধের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে৷ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-কে কড়া ভাষায় হুমকি দেন কুরেশি৷ পাক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ওআইসি যদি কাশ্মীর ইস্যুতে বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক না ডাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পাকিস্তান৷ কাশ্মীর নিয়ে ইসলামিক দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই কাশ্মীর ইস্যুতে বৈঠক ডাকার জন্য ওআইসি-র উপর চাপ দিচ্ছিল পাকিস্তান৷ কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি৷ গত বছর অগাস্ট মাসে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে ওআইসি-তে ভারতের বিরুদ্ধে সমর্থন আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসলামাবাদ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, তুরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতার জেরেই ইসলামাবাদ থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে রিয়াধ।
আরও পড়ুন- ধুলোমাখা পথে বসেই সারমেয়র শুশ্রূষা, নেটিজেনরা বলল ‘কিংস অফ ইন্ডিয়া’