মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি কেন? সাফ জানালো পুলিশ

বারবার সূচি বদল করায় যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ

কলকাতা: নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেই পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনি নিজে বলেন, চার পাঁচ জন ষড়যন্ত্র করে ধাক্কা মেরেছে তাঁকে। ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতির উত্তেজিত পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবিতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও স্বভাবতই উঠে যায় প্রশ্ন। তার প্রেক্ষিতেই এদিন কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ।

নন্দীগ্রামে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশ, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। পুলিশের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করা রিপোর্টে এই কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে গাফিলতির জন্য দেওয়া হয়েছে কৈফিয়তও। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত একাধিকবার কর্ম ও অবস্থানসূচি বদল করার কারণেই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। 

আরও পড়ুন-  দিল্লিতে বৈঠক করতে ছুটলেন দিলীপ-শুভেন্দুরা, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সম্ভাবনা আজ

বস্তুত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাধারণত জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা পেয়ে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সঙ্গেই ছিল তাঁর স্পেশ্যাল সিকিওরিটি ইউনিটের গাড়ি এছাড়া মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজিও ছিলেন তাঁর সঙ্গেই। কনভয়ের সামনে ছিল নন্দীগ্রাম থানার ওসির গাড়ি। তবে মুখ্যমন্ত্রী বারবার সূচি বদল করায় চেষ্টা করেও খানিক পিছিয়ে পড়েছিলেন পুলিশ সুপার। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের ঘটনার পর এলাকার পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্টই বলেন, “সারাদিন আমার সঙ্গে লোকাল পুলিশের কেউ ছিল না।” এরপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আক্রমণের তত্ত্ব জোরালো হলে বিজেপির তরফ থেকেও দাবি উঠতে থাকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের। পুলিশ তথা নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির। এ ব্যাপারে পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে কোনো হামলার উল্লেখ ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − eight =